কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে গড়াই নদীর রেলওয়ে লোহার সেতুর উপর উঠে সেলফি তুলতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় নদীতে পড়ে ছামি হোসেন (১৪) নামের এক স্কুল ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। 

শুক্রবার (১১ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ি রেলওয়ের লোহার সেতু এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় নদীতে পড়ে নিখোঁজ হয় ছামি। পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে খুলনা থেকে আসা ডুবুরি দল নিখোঁজ কিশোরের লাশ উদ্ধার করে। 

নিহত ছামি হোসেন উপজেলার নন্দলালপুর ইউনিয়নের এলঙ্গীপাড়া এলাকার হারুন হোসেনের ছেলে। সে কুমারখালী এমএন হাই স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ছিল।

ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বিকেলে চার বন্ধু মিলে গড়াই নদীর রেলওয়ে লোহার সেতুতে ছবি তুলতে গিয়েছিল। সেতুতে উঠার পর হঠাৎ রাজশাহীগামী মধুমতি এক্সপ্রেস ট্রেন চলে আসে। ট্রেন দেখে তিন বন্ধু সেতুর ওপর একটি নিরাপদ স্থানে দাঁড়িয়ে পড়ে। আর ছামি নিরাপদ স্থানে পৌঁছাতে গিয়ে ট্রেনের সঙ্গে ধাক্কা লেগে নদীতে পড়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তিনজনকে উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা রাতে তার মরদেহ উদ্ধার করে।

এ বিষয়ে কুমারখালী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুল হালিম বলেন, চার বন্ধু রেলওয়ের লোহার সেতুতে উঠে সেলফি তুলতে গিয়েছিল। এসময় ট্রেন চলে আসলে তিনজন নিরাপদে দাঁড়িয়ে পড়ে। কিন্তু ছামি ট্রেনের ধাক্কায় নদীতে পড়ে যায়। ছামির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, নিখোঁজ স্কুল ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সেলফি তুলতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় নদীতে পড়ে তার মৃত্যু হয়েছে। 

রাজু আহমেদ/আইএসএইচ