ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) ভোর থেকে তীব্র যানজট শুরু হয়েছে। মহাসড়কের মেঘনা সেতুর টোল প্লাজা থেকে সাইনবোর্ড পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট রয়েছে। দীর্ঘ যানজটে আটকে যাত্রী ও চালকদের দুর্ভোগ চরমে।

তিন দিনের ছুটির কারণে ঘরমুখী মানুষের চাপে রাস্তায় অতিরিক্ত গাড়ির কারণেই যানজট হচ্ছে বলে জানিয়েছেন হাইওয়ে পুলিশ।

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলার বাসিন্দা চাকরিজীবী রুবেল মিয়া সকাল ৯টার দিকে সোনারগাঁয়ের মদনপুর চৌরাস্তা বাস স্ট্যান্ডে যানজটে আটকা পড়েন। তিনি বলেন, স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে গ্রামের বাড়িতে যাওযার জন্য ভোর ৫টায় রওনা হই। ঢাকার সায়েদাবাদে বাসে উঠেছি। সেখান থেকে মদনপুর চৌরাস্তা আসতে ৪ ঘণ্টা সময় লেগেছে। অথচ অন্য সময় এতটুকু পথ পাড়ি দিতে সর্বোচ্চ ৪০ মিনিট সময় লাগত।

চাদঁপুরগামী প্রাইভেট কারচালক আমিনুল ইসলাম বলেন, ভোর পৌনে ৫টায় ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে নোয়াখালীর দিকে রওনা দিয়েছি। পথে শুধু যানজট আর যানজট। গণপরিবহনে চলাচল করলে অবস্থা কী হতো?

কুমিল্লাগামী মাইক্রোবাসের চালক শফিক মিয়া বলেন, ঈদ সামনে রেখে পথে পথে যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এতে সময় ও গ্যাসের অপচয় হচ্ছে।

কাচঁপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ করিম খান জানান, তিন দিনের ছুটিতে ঘরমুখী মানুষের অতিরিক্ত গাড়ির চাপের কারণে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। মহাসড়কে সার্বক্ষণিক হাইওয়ে পুলিশ দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। যান চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।

শেখ-ফরিদ/আরআই