বন্ধুকে বাঁচাতে গিয়ে পদ্মায় ডুবে প্রাণ গেল ২ কিশোরের
রাজশাহী নগরীতে পদ্মায় গোসলে নেমে পানিতে ডুবে দুই কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর বোয়ালিয়া থানার বড়কুঠি সংলগ্ন পদ্মায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত দুই কিশোর হলো- বড়কুঠি এলাকার সাইদের ছেলে শাহিন (১৫) ও একই এলাকার সারিকের ছেলে নীরব (১৫)।
এদের মধ্যে অষ্টম শ্রেণি পডুয়া শাহিন নগরীর লোকনাথ উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। আর নীরব শিক্ষাবোর্ড মডেল উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। সেও একই শ্রেণিতে পড়ত।
বিজ্ঞাপন
স্বজন ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বড়কুঠি সংলগ্ন পদ্মায় বাঁধ দিয়ে প্রবাহ আটকে রেখেছে সিটি করপোরেশন। সেখানেই বন্ধুদের সাথে গোসলে নেমেছিল এই দুই কিশোর। একজনকে তলিয়ে যেতে দেখে অন্যজন উদ্ধারে নেমেছিল।
কিন্তু সাঁতার না জানায় দুজনেই পদ্মায় তলিয়ে যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার কর্মীরা আসার আগেই স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করেন।
বিজ্ঞাপন
রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আব্দুর রউফ জানান, বেলা ১১টা ৩৭ মিনিটে তাদের কাছে খবর আসে। ১১টা ৩৯ মিনিটে উদ্ধারকর্মীরা রওনা দেন।
মিনিট দুইয়েকের মধ্যেই তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। ততক্ষণে পদ্মা থেকে ওই দুই কিশোরকে তুলে আনেন স্থানীয়রা। ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে করে তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়।
হাসপাতাল পুলিশ বক্সের ইনচার্জ উপপরিদর্শক মুকুল হোসেন জানান, বেলা ১২টা ১৫ মিনিটে অচেতন অবস্থায় দু্ই কিশোরকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। জরুরি বিভাগ থেকে দ্রুত তাদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে পাঠিয়ে দেন চিকিৎসক। ৮ নম্বর ওয়ার্ডে নেওয়ার পর দায়িত্বরত চিকিৎসক দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন। পরে মরদেহ হাসপাতালের মর্গে নেওয়া হয়েছে।
নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম জানান, বড়কুঠি এলাকার পদ্মায় ছয় কিশোর গোসলে নেমেছিল। একজনতে তলিয়ে যেতে দেখে আরেকজন উদ্ধারে যায়। এক পর্যায়ে দুজনই তলিয়ে যায়। পরে অন্য চারজন উঠে এসে স্থানীয়দের জানান। পরে স্থানীয়রা দুজনকে পদ্মা থেকে তুলে আনেন। রামেক হাসপাতালে নেওয়ার পর তাদের মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। এ নিয়ে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
ফেরদৌস সিদ্দিকী/আরআই