মহেশখালীর সোনাদিয়ার চর এলাকায় মালয়েশিয়ায় পাচার হতে যাওয়া একটি রোহিঙ্গা বহরের সন্ধান মিলেছে। সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে খবর পেয়ে রোহিঙ্গাদের উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। বিকেল ৫টা পর্যন্ত নারী-পুরুষসহ ১১৫ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।

আরো শতাধিক রোহিঙ্গা সোনাদিয়ার ঝাউবনে লুকিয়ে আছে। তাদের উদ্ধারে অভিযানে রয়েছে পুলিশের কয়েকটি দল। মহেশখালী থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আল আমিনের নেতৃত্বে অভিযান চলছে। তবে অভিযানে থাকায় তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। 

অভিযানে সহায়তাকারী স্থানীয় পরিবেশকর্মী গিয়াস উদ্দীন জানিয়েছেন, রোহিঙ্গাদের বহনকারী একটি বড় কাঠের বোট সোনাদিয়ার চর এলাকায় নোঙর করে এসব রোহিঙ্গাকে চরে নামিয়ে দেয়। তা দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে মহেশখালী থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযান শুরু করে। অভিযানের খবর টের পেয়ে বহু রোহিঙ্গারা লোকালয়ের ঝাউবনের লোকানোর চেষ্টা করে। বিকেল ৫টা পর্যন্ত অভিযানে ৫১ জন নারী, ১৫ জন শিশুসহ ১১৫ জনকে আটক করা হয়। তবে আরো শতাধিক রোহিঙ্গা এখনো লুকিয়ে রয়েছে। 

আটক রোহিঙ্গারা জানিয়েছেন, এক সপ্তাহে আগে মালয়েশিয়া পাচারের জন্য দালাল চক্র তাদের বড় একটি বোটে তুলেন। সুযোগ না পাওয়ায় তাদের নিয়ে বোটটি মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্যে যেতে পারেনি। শেষে তাদেরকে সোনাদিয়ার চরে নামিয়ে দিয়ে বোটটি পালিয়ে গেছে।

কক্সবাজার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া পাঠানোর কথা বলে উখিয়ার বিভিন্ন রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির থেকে রোহিঙ্গা নাগরিকদের বাহির করে আনেন দালাল চক্রের সদস্যরা।

গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সোনাদিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গারা উখিয়ার বিভিন্ন রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের বাসিন্দা বলে জানা গেছে। তবে রাতে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে বিস্তারিত সংবাদ সম্মেলনে জানানো হবে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

সাইদুল ফরহাদ/আরএআর/এমএএস