চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় নানি শাশুড়ির অপহরণ মামলায় এবার নাতজামাই জিহাদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) বিকেলে দামুড়হুদা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে জিহাদকে গ্রেপ্তার করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ।

তিনি বলেন, অপহরণ মামলায় জিহাদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আগামীকাল (আজ) গ্রেফতারকৃত জিহাদকে আদালতে সোপর্দ করা হবে। এ ছাড়া অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় মেহরিমাকেও আদালতে হাজির করা হবে।

মারধরের বিষয়ে ওসি বলেন, মেহরিমাকে উদ্ধারে এক নারী পুলিশের সঙ্গে মেহরিমার শাশুড়ির ধস্তাধস্তি হয়। এতে দুজন আহত হয়। তবে মেহরিমাকে কোনো পুলিশ সদস্য মারধর করেনি।

এর আগে মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশের একটি দল উপজেলার হাউলি ইউনিয়নের পুরাতন বাস্তবপুর গ্রামে জিহাদের বাড়িতে গিয়ে তার স্ত্রী মেহরিমা ইসলাম স্নেহাকে উদ্ধার করে থানায় নেওয়ার জন্য। সেখানে দুই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে জিহাদের স্ত্রী মেহরিমা ইসলাম ও তার শাশুড়ি সোহানা খাতুনকে মারধরের অভিযোগ করেন জিহাদ ও তার বাবা শওকত আলী।

এ ঘটনার সময় মেহরিমা ইসলাম পুলিশের উপস্থিতিতেই কক্ষের দরজা বন্ধ করে ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরে প্রতিবেশী ও পুলিশ সদস্যরা ঘরের দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

চুয়াডাঙ্গা জেলার সহকারী পুলিশ সুপারের (দামুড়হুদা সার্কেল) কাছে মারধরের বিষয়টি জানতে চাইলে এক নারী পুলিশের বিরুদ্ধে মারধরের বিষয়টি তিনি শুনেছেন বলে ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন।

দামুড়হুদা মডেল থানা সূত্রে জানা গেছে, আহত মেহরিমা ইসলাম স্নেহার নানি নয়ন তারা সম্প্রতি দামুড়হুদা মডেল থানায় তার নাতনিকে জোর কেরে আটকে রেখেছে বলে একটি অভিযোগ দেন। এর পরিপেক্ষিতে মঙ্গলবার মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রাজিব, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ইখলাসসহ মহিলা পুলিশ সদস্যরা মেহরিমাকে উদ্ধার করতে যান।

আফজালুল হক/এনএ