শরীয়তপুরের নির্মাণাধীন ভবনের সেপটিক ট্যাংকের সেন্টারিং খুলতে নেমে দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরেকজন আহত অবস্থায় ডামুড্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

বুধবার (২৩ মার্চ) বিকেল ৫টায় উপজেলার সিড্যা ইউনিয়নের মধ্য সিড্যা গ্রামে আব্দুল খালেক মীরের নতুন ভবনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

মৃত শ্রমিকরা হলেন; সিড্যা মিরা বাড়ির সৈয়দ পনুর ছোট ছেলে মো. তুহিন মীর (৩০) ও একই এলাকার জামাল ছৈয়ালের ছেলে ইব্রাহীম ছৈয়াল (২২)। আহত শ্রমিকের নাম আবুল হোসেন (৪৫)।

ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সিড্যা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের মিরা বাড়ির আব্দুল খালেক মীরের নতুন ভবনের ঠিকাদারির কাজ করছেন সৈয়দ তুহিন। গত দুই সপ্তাহের আগে সেপটিক ট্যাংকের ঢালাইয়ের কাজ শেষ হয়। আজ সহযোগী ইব্রাহীম সেপটিক ট্যাংকের ভেতরের সেন্টারিংয়ের মালামাল খুলতে নামেন। নামার পর ইব্রাহীমের সাড়া শব্দ না পেয়ে তুহিনও নিচে নামেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান। তাকে উদ্ধার করতে ট্যাংকে নামেন তার বড় ভাই আবুল হোসেন। তুহিনকে উদ্ধার করে বের করতে পারলেও তিনি উঠতে পারেননি। পরে তুহিন বড় ভাইকে উদ্ধার করতে গিয়ে আর বের হতে পারেননি।

ডামুড্যা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক ডা. নিশাত ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রথমে আবুল হোসেন নামে একজন রোগীকে হাসপাতালে আনা হয়। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তুহিন এবং ইব্রাহীমকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল।

সিড্যা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ আব্দুল হাদি জিল্লু ঢাকা পোস্টকে বলেন, সেপটিক ট্যাংকের ছাদের ঢালাই দেওয়া হয়েছিল কয়েক দিন আগে। সেখানে নির্মাণকাজে ব্যবহৃত কাঠ-বাঁশ বের করার জন্য রাজমিস্ত্রি তুহিন ও দুই শ্রমিক কাজ করছিলেন। ট্যাংকের ভেতরে গ্যাস জমা ছিল, তা তারা বুঝতে পারেননি। কাজ করার জন্য ট্যাংকের ভেতরে প্রবেশ করলে গ্যাসে তাদের মৃত্যু হয়।

ডামুড্যা থানার ওসি শরীফ আহমেদ জানান, ঘটনাটি জেনেছি। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/এসকেডি