পদ্মাসেতু চালুর পর বরিশাল শহর অচল হয়ে যেতে পারে
পদ্মাসেতু চালু হওয়ার পর নথুল্লাবাদ থেকে রূপাতলী পর্যন্ত বরিশাল নগরীর বিকল্প সড়ক তৈরি করা না হলে শহর অচল হয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার আমিন উল আহসান।
তিনি বলেন, পদ্মা সেতু চালুর পর ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কের ভাঙ্গা থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত সড়ক দুর্ঘটনা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সড়কে তখন যানবাহন চলাচলের প্রতিযোগিতা বাড়বে। সড়ক দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে আগে থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে।
বিজ্ঞাপন
সোমবার (২৮ মার্চ) দুপুরে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) বিভাগীয় কার্যালয়ের আয়োজনে বরিশাল সার্কিট হাউজে অনুষ্ঠিত সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাসকল্পে আমাদের করণীয় শীর্ষক আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
আমিন উল আহসান বলেন, ভাঙ্গা থেকে বরিশাল রুটের এই সড়কে কিছু যায়গায় হেরিংবন ব্যবহারের মাধ্যমে সড়ক প্রশস্ত করে ও ডিভাইডার ব্যবহার করে দুর্ঘটনার সংখ্যা কমিয়ে আনা সম্ভব। দুর্ঘটনা ঘটলে একটি প্রবণতা আছে, তা হলো সেখানে একটি স্পিড ব্রেকার স্থাপন করা। মহাসড়কে স্পিড ব্রেকারও একটি দুর্ঘটনার কারণ। এটি খুবই অবৈজ্ঞানিক ধারণা।
বিজ্ঞাপন
অতিরিক্ত আইজিপি ও বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে চালকদের উন্নত দেশের মানসিকতা ধারণ করলেই হবে না, তাকে বাস্তবসম্মত মানসিকতার হতে হবে।
তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, দেশের রাস্তায় যদি আপনি উন্নত দেশের গতিতে গাড়ি চালান, তাহলে তো হবে না। দেশের সড়ক উন্নত দেশের মতো হতে আরও সময় লাগবে। যখন উন্নত দেশের মতো হবে তখন আপনি চালাবেন। কিন্তু তার আগেই যদি উন্নত দেশের সড়কের মতো গাড়ি চালান, তখন দুর্ঘটনা তো কমিয়ে আনা সম্ভব নয়।
চালককে বাস্তবসম্মত ধারণা নিয়ে সড়কে গাড়ি চালাতে হবে। এ ছাড়া চালক, শ্রমিক, যাত্রী সবাইকে সচেতন হতে হবে। সকলে সচেতন না হলে সড়ক দুর্ঘটনা কমিয়ে আনা সম্ভব নয়।
বরিশালের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাকিবুর রহমান খানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন- জেলা পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন, সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদ মাহমুদ সুমন, বরিশাল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসেন, বিআরটিএ বরিশালের উপপরিচালক মো. জিয়াউর রহমানসহ যানবাহনের মালিক, শ্রমিক ও নেতৃবৃন্দ।
সৈয়দ মেহেদী হাসান/আরআই