নেত্রকোনা সদরের বড় বাজার এলাকায় সালতি নামে একটি রেস্টুরেন্টের কর্মচারী ঈসমাইল (১৪) নামে এক কিশোরকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আরেক কিশোরকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) রাত পৌনে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।  

কিশোর ঈসমাইল জেলার সদর উপজেলার রৌহা ইউনিয়নের বড়গাড়া গ্রামের আব্দুল বারেকের ছেলে।

বুধবার সকালে নেত্রকোনা মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) সোহেল রানা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মঙ্গলবার রাত পৌনে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। খবর পাওয়ার পর পরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে এক কিশোর কর্মচারীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সে প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। এছাড়া নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে নেওয়া হয়েছে। ।

পুলিশ, রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নেত্রকোনা সদর উপজেলার ছোটগাড়া গ্রামের আবদুল বারেকের স্ত্রী কনা আক্তার ও ছেলে ঈসমাইল শহরের বড় বাজার এলাকার সালতি রেস্টুরেন্টে দীর্ঘ দিন ধরে কর্মচারী হেসেবে কাজ করে আসছিল। মঙ্গলবার কাজ শেষে মা বাড়ি চলে যান। 

ছেলে কাজ শেষে রেস্টুরেন্টেই থেকে যায়। রাত আনুমানিক পৌনে ৯টার দিকে ওই রেস্টুরেন্টের কর্মচারী আল-মামুনের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ঈসমাইলকে বেধড়ক মারপিট করে। এতে ঈসমাইল অজ্ঞান হয়ে পড়ে। পরে তাকে রাতে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

রেস্টুরেন্টের মালিক রাজু মিয়া জানান, ঘটনার সময় আমি রেস্টুরেন্টে ছিলাম না। বিষয়টি শুনে পরে এসেছি। ঈসমাইল এবং আল মামুনের মধ্যে ঝগড়ার জের ধরেই ঈসমাইলের মৃত্যু হয়েছে। এ দায় রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ নেবে না। এ ঘটনায় যে প্রকৃত দোষী তাকেই দায়ভার বহন করতে হবে।

ঈসমাইলের মা কনা আক্তার বলেন, আমি আর ঈসমাইল ওই হোটেলে একসঙ্গেই কাজ করি। হোটেলে কাজ বেশি থাকায় মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঈসমাইলকে হোটেলে রেখে বাড়িতে চলে যাই। পরে শুনতে পাই ঈসমাইলকে মামুন লাথি মেরে সিঁড়ি থেকে ফেলে দিয়েছে। সে হাসপাতালে আছে। তারপর হাসপাতালে গিয়ে ছেলেকে জীবিত দেখতে পাইনি।

জিয়াউর রহমান/এসপি