গাজীপুরে কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে, হুড়োহুড়ি করে আহত ২৫
শ্রীপুর উপজেলায় আজিজ গ্রুপের এএসএম কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কারখানায় আগুন
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় আজিজ গ্রুপের এএসএম কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড কারখানায় লাগা আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে কারখানার ভেতরে এখনো আগুন জ্বলছে। আগুন লাগার পর হুড়োহুড়ি করে বের হতে গিয়ে কারখানার ২৫ কর্মকর্তা-কর্মচারী আহত হয়েছেন।
পাঁচ ঘণ্টার চেষ্টায় বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে নিশ্চিত করেছেন শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের কর্মকর্তা মিয়া রাজ।
বিজ্ঞাপন
এর আগে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের টেপিরবাড়ি গ্রামের এএসএম কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কারখানায় আগুন লাগে। আগুন লাগার পরপরই চারপাশ ধোঁয়ায় অন্ধকার হয়ে যায়। এতে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, কারখানার রাসায়নিক প্ল্যান্টে আগুন লাগে। মুহূর্তেই আগুন পুরো কারখানায় ছড়িয়ে পড়ে। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা হওয়ায় রাসায়নিক কারখানায় আগুনের খবরে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে বাড়িঘরের মালামাল সরাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন সবাই।
বিজ্ঞাপন
আগুন লাগার পর হুড়োহুড়ি করে কারখানা থেকে বের হতে গিয়ে ২৫ শ্রমিক আহত হয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত নিহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
আহতদের মধ্যে কারখানার সাপ্লাইম্যান মো. টুটুল, সহকারী প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম, অপারেটর আবির হোসেন, রোকনুজ্জামান, কর্মকর্তা ওয়াসিম আকরাম, ইসহাক, সুজা উদ্দিন, সিলভেস্টা, আশরাফুল, মনির ও আমিনুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছেন আহত অন্যরা।
কারখানার সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) আব্দুর রউফ বলেন, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কারখানার হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড মেশিন বিকল হয়ে বিস্ফোরণ ঘটে। মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে ভবনে। আগুন লাগার খবরে কারখানায় কর্মরতদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। এ সময় হুড়োহুড়ি করে বের হতে গিয়ে বেশ কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী আহত হন। তবে নিহত হননি কেউ।
শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের কর্মকর্তা মিয়া রাজ বলেন, খবর পেয়ে প্রথমে শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। আগুনের ভয়াবহতা দেখে জয়দেবপুর ও ময়মনসিংহের ভালুকার আরও দুটি করে ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজে অংশ নেয়। ফায়ার সার্ভিসের ছয় ইউনিটের পাঁচ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে এখনো কারখানার ভেতরে আগুন জ্বলছে। কারণ কারখানার রাসায়নিক প্ল্যান্টে আগুন লেগেছে। এ আগুন নিয়ন্ত্রণে অনেক সময় লাগে। এখন আগুন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে।
মিয়া রাজ আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে হুড়োহুড়ি করে বের হতে গিয়ে কয়েকজন আহত হয়েছেন। তাদের চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।
মিলটন খন্দকার/এএম