নদী ভাঙনের হাত থেকে হিজলা উপজেলা রক্ষার দাবি জানিয়েছেন বিশিষ্টজনেরা। ভাঙন রোধে আসন্ন ঈদের মধ্যে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে নৌপথ অবরোধ করার হুমকি দিয়েছেন তারা। এই আন্দোলনের দায় জেলা প্রশাসনকে নিতে হবে বলেও উল্লেখ করা হয়।

শনিবার (২ এপ্রিল) দুপুরে বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটিতে হিজলা উপজেলা রক্ষার দাবিতে সংবাদ সম্মলেন করে উপজেলা নাগরিক কমিটি। কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মাহাবুবুল আলম দুলাল সকলের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পড়েন।

তিনি বলেন, উপমহাদেশে শিক্ষা, সংস্কৃতি, সাংবাদিকতা, রাজনীতিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে এই উপজেলার মানুষ। কিন্তু হিজলা, মেহেন্দিগঞ্জ, কাজিরহাট, মুলাদী এলাকা কমপক্ষে ১৪টি নদী বেষ্টিত বিচ্ছিন্ন এলাকা। সেই এলাকা আজ নদী ভাঙনের করুণ শিকার। প্রতি বছর যে হারে নদী ভাঙন হচ্ছে তাতে হিজলা উপজেলা দেশের মানচিত্র থেকে মুছে যাওয়া সময়ের ব্যাপার।

অথচ নদী ভাঙন রোধে উপজেলা সদরদপ্তর, অর্থ, বাণিজ্য, শিল্প ও সামাজিক স্থাপনা রক্ষায় নুন্যতম কোনো উদ্যোগ নেয়নি কেউ। এমপি-মন্ত্রীরাও এই উপজেলার ভাঙন রোধে পদক্ষেপ নেওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছেন না। ইতোমধ্যে উপজেলার উত্তর সীমান্তবর্তী কয়েক হাজার একর জমি, কয়েকটি ইউনিয়ন-মৌজা মেঘনায় বিলীন হয়ে গেছে।

নাগরিক কমিটি দাবি করেন, ঈদুল ফিতরের মধ্যে নদী ভাঙন প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে নৌপথ অবরোধ করা হবে। আর যদি হিজলার জনগণ আন্দোলনে নামে তার দায় জেলা প্রশাসককে নিতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- ভাষা সৈনিক নায়েব আব্দুল কুদ্দুস, বীর মুক্তিযোদ্ধা বেজ ককাণ্ডার আব্দুর রশিদ সিকদার।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/আরআই