সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় প্রাইভেট না পড়ায় ১০ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে পিটিয়ে হাত ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

শনিবার (২ এপ্রিল) দুপুরে তাড়াশ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাকির হোসেনকে প্রধান করে ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে উপজেলা প্রশাসন।

লিখিত অভিযোগে আহত ছাত্রীর বাবা উল্লেখ করেন, তার মেয়ে তাড়াশ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী। শনিবার (২ এপ্রিল) দুপুরে টিফিনের পর সে বান্ধবীদের সঙ্গে গল্প করছিল। এ সময় প্রধান শিক্ষক মো. আলী হাসান তাকে অফিস কক্ষে ডেকে নিয়ে মারধর শুরু করেন। এক পর্যায়ে তাকে পিটিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করেন তিনি। পরে অন্য শিক্ষার্থীরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে এক্স-রে করে দেখা যায়, আমার মেয়ের বাম হাতের কব্জির হাড় ভেঙে গেছে।  

শিক্ষার্থীর বাবা অভিযোগ করেন, তার কাছে প্রাইভেট না পড়ায় আগে থেকেই ওই ছাত্রীর ওপর আক্রোশ ছিল প্রধান শিক্ষক আলী হাসানের। 

অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষক আলী হাসান বলেন, গত শনিবার টিফিনের পর ওই ছাত্রী মোবাইল ফোনে কথা বলছে- এমন অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে ডেকে এনে মোবাইল ফোন জব্দ করি। সে ফেরার পথে আমাকে নিয়ে গালমন্দ করে। বিষয়টি অন্য ছাত্রীদের মুখে শুনে তাকে অফিসে ডেকে শাসন করেছি। তবে তার হাত ভাঙার মতো কিছু ঘটেনি।

তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেজবাউল করিম বলেন, ওই স্কুলছাত্রীর বাবা একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ঘটনাটি তদন্তে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটি ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শুভ কুমার ঘোষ/আরএআর/জেএস