মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলায় মাদরাসাছাত্র আরিফুল ইসলাম (১৪) হত্যা মামলার একমাত্র আসামি বোরহানউদ্দিন হাওলাদার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। সোমবার (৪ এপ্রিল) বিকেলে মাদারীপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হোসেনের আদালত আসামির জবানবন্দি গ্রহণ করেন।

গত শুক্রবার সকালে কালকিনি উপজেলার কৃষ্ণনগর এলাকার একটি পুকুর থেকে আরিফুলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত আরিফুল মাদারীপুর সদর উপজেলার হোগলপাতিয়া এলাকার হারুণ সরদারের ছেলে। সে কৃষ্ণনগর এলাকার দারুল কোরআন হাফেজিয়া কওমি মাদ্রাসায় নজরানা বিভাগের ছাত্র ছিল। এ ঘটনার একদিন পর নিহতের বাবা হারুণ সরদার বাদী হয়ে ওই মাদরাসার বাবুর্চি বোরহানউদ্দিন হাওলাদারকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।

কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইশতিয়াক আশফাক রাসেল স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে রোববার (৩ এপ্রিল) বগুড়া সদর থানা-পুলিশের সহায়তায় বগুড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে বোরহানউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আসামি আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তিনি আদালতকে বলেছেন, তার মেয়েকে ও মাদরাসার পেছনে আরেকটি মেয়েকে প্রেমের প্রস্তাবসহ কুপ্রস্তাব দেয় আরিফুল। মেয়ের মুখ থেকে বিষয়টি শুনে ক্ষুব্ধ হন বোরহান। পরে বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে আরিফুলকে মাদরাসা থেকে ডেকে নিয়ে বোরহান বাড়ির পাশের একটি পুকুরপাড়ে বসেন। এরপর আরিফুলের কাছে তার মেয়েকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। আরিফুল কোনো জবাব না দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে দুটি থাপ্পড় দেন বোরহান। পরে পানিতে টেনে নামিয়ে আরিফুলের ঘাড় চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন।

কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইশতিয়াক আশফাক বলেন, হত্যার পরই আসামি এলাকা ছেড়ে বগুড়া চলে যায়। আমরা খবর পেয়ে একদিন পর বগুড়ায় অবস্থান নিই। কৌশলে পুলিশের সদস্যরা আসামি বোরহানউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন। এছাড়া আসামি পুলিশ ও আদালতের কাছে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন।

নাজমুল মোড়ল/এসএসএইচ