সাতক্ষীরার কলারোয়ায় স্কুলছাত্রী সানচিতা হোসেন সেঁজুতি হত্যার সাত দিন পর প্রেমিক আব্দুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে তাকে সাতক্ষীরা আদালতে পাঠানো হয়।

আব্দুর রহমান কলারোয়া উপজেলার জালালাবাদ গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে ও কলারোয়ার হাবিবুল ইসলাম কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। প্রেমিকা সানচিতা হোসেন সেঁজুতি জালালাবাদ মাষ্টারপাড়া গ্রামের পলাশ হোসেনের মেয়ে। সে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত।

কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দীন মৃধা জানান, সেঁজুতির সঙ্গে আব্দুর রহমানের দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গ্রেপ্তার আব্দুর রহমান হত্যার কথা স্বীকার করেছে। সে জানিয়েছে, সেঁজুতির সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক থাকলেও সম্প্রতি অন্য ছেলের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে সেঁজুতি। বিষয়টি মানতে পারেনি সে। এরপর সেঁজুতিকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করে। একপর্যায়ে ২৭ মার্চ রাতে আব্দুর রহমান সেঁজুতিকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।

তিনি আরও জানান, পালানোর সময় কোনো একটি বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আব্দুর রহমান সেঁজুতিকে ধাক্কা দিলে পাশের বাড়ির দেওয়ালে আঘাত লেগে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। জ্ঞান না ফেরায় ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে আব্দুর রহমান গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে সেঁজুতিকে। এরপর মরদেহ প্রতিবেশী আলাউদ্দিন সরদারের কুল বাগানের ড্রেনে ফেলে দেয়। মরদেহও সে একাই ফেলেছে বলে স্বীকার করেছে।

ওসি আরও বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আব্দুর রহমানকে রোববার (৩ এপ্রিল) রাতে কলারোয়া পৌরসভার আফজালের মোড় এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আব্দুর রহমান আদালতে ১৬৪ ধারার জবানবন্দি দিয়েছে। জবানবন্দি শেষে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

গত ২৮ মার্চ সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সেঁজুতির মরদেহ উপজেলার জালালাবাদ মাষ্টারপাড়া গ্রামের আলাউদ্দিন সরদারের কুল বাগানের ড্রেন থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত সেঁজুতির মা লায়লা পারভীন বাদী হয়ে অজ্ঞাত পরিচয়ের কয়েকজনকে আসামি করে কলারোয়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

আকরামুল ইসলাম/এসএসএইচ