মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলায় এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর ভিডিও ধারণ করে সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে দুই তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (১০ এপ্রিল) রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন শিবালয় উপজেলার শিবরামপুর গ্রামের তুহিনুজ্জামান তপুর ছেলে সামিউল ইসলাম সামি (২২) এবং ঘিওর উপজেলার শ্রীবাড়ী গ্রামের পল্লব সরকারের ছেলে তাপস সরকার (১৯)।

সোমবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে ৫টার দিকে শিবালয় সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূরজাহান লাবণী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ১ মার্চ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অভিযুক্ত পারভেজ মোশারফ ওরফে সামির সঙ্গে পরিচয় হয়। ২ মার্চ সকাল ১০টার দিকে তেওতা একাডেমীতে অ্যাসাইনমেন্ট জমা দেওয়ার জন্য ভুক্তভোগী ওই স্কুলছাত্রী বাইরে বের হয়। ওই দিন বিকেলে পারভেজ তাকে প্রলোভন দেখিয়ে রিকশায় উঠিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করে। পরে পারভেজ ও তার সহযোগী তাসপ সরকার মিলে তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে এবং ভিডিও ধারণ করে।

অভিযুক্তরা এ ঘটনা কাউকে বললে ভিডিও ফেসবুক ও ইউটিউবে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। লোকলজ্জার ভয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রী এ ঘটনা গোপন রাখে। কিন্তু ধর্ষণের ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে তাকে আবারো নানাভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছিল অভিযুক্তরা। তারা টাকা ও স্বর্ণালংকারও দাবি করেছিল। না পেয়ে একপর্যায়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও ছড়িয়ে দেয়।

রোববার ওই স্কুলছাত্রীর মা বিষয়টি থানা পুলিশকে জানালে রাতেই অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ধর্ষণের ভিডিও ক্লিপসহ মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।

শিবালয় সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূরজাহান লাবণী বলেন, এ ঘটনায় ওই স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে শিবালয় থানায় মামলা করেছেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা পুলিশের কাছে ঘটনা স্বীকার করেছে। অভিযুক্তদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সোহেল হোসেন/এনএ