নীলফামারীর সৈয়দপুরে রেললাইনে বসে ফোনে কথা বলার সময় ভারতীয় পাথরবাহী ট্রেনে কাটা পড়ে আরজু হোসেন (১৭ ) নামে এক কলেজছাত্র নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন রেলওয়ে থানার পূর্ব দিকের লাইনে কাটা পড়ে তার মৃত্যু হয়।

আরজু হোসেন শহরের পুরাতন বাবুপাড়ার হায়দার আলীর ছেলে এবং মকবুল হোসেন টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার বাবা-মা দুজনই ঢাকার একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। সে তার ছোট চাচার বাসায় থাকত। পড়াশোনার পাশাপাশি সৈয়দপুর পৌরবাজারের একটি কাপড়ের দোকানে কাজ করত।

রেলওয়ে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাত সাড়ে ১০টার দিকে ভারতীয় পাথরবাহী ট্রেনে কাটা পড়ে আরজু। পরে স্থানীয়রা মরদেহটি দেখে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। 

সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশনের কর্তব্যরত মাস্টার মো. আলমগীর হোসেন জানান, ওই শিক্ষার্থী তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কোনো বিষয় নিয়ে ব্যস্ত ছিল। এ সময় পয়েন্টম্যানদের সিগন্যাল সে বুঝতে না পারায় দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সৈয়দপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শফিউল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, ধারণা করা হচ্ছে নিহত শিক্ষার্থী রেললাইনের ওপর বসে ফোনে কারও সঙ্গে কথা বলায় কিংবা গেম খেলায় ব্যস্ত ছিল। এমন সময় ওই পাথরবাহী ট্রেনে কাটা পড়ে। ঘটনাস্থল থেকে নিহতের ব্যবহার করা একটি স্মার্টফোন জব্দ করা হয়েছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট আসার পরই ঘটনার প্রকৃত কারণ সম্পর্কে বলা যাবে।

শরিফুল ইসলাম/এসপি