নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় পারিবারিক কলহের জের ধরে বর্ষা বেগম (১৮) নামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। বুধবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার ভাঙ্গালপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত স্বামী পলাতক রয়েছে।  

নিহত বর্ষা বেগম পলাশ উপজেলার চরসিন্দুর ইউনিয়নের চরখোপি গ্রামের আনোয়ার হোসেনের মেয়ে। তার স্বামী অন্তর সরকার একই উপজেলার ভাঙ্গালপাড়া এলাকার শফিকুল ইসলামের ছেলে।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বর্ষা ও অন্তর দুজনেই স্থানীয় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে শ্রমিকের কাজ করত। গত সাত মাস আগে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই পারিবারিক ও ব্যক্তিগত একাধিক বিষয় নিয়ে বিভিন্ন সময় তাদের মধ্যে ঝগড়া হতো। 

গতকাল (মঙ্গলবার) দিবাগত রাতে প্রতিষ্ঠানে কাজ শেষ করে আজ (বুধবার) সকালে স্বামী-স্ত্রী দুজনই একসঙ্গে বাড়ি ফেরেন। ফেরার কিছুক্ষণ পরই তাদের মধ্যে অজ্ঞাত বিষয় নিয়ে তর্কাতর্কি হয়। এক পর্যায়ে তা কলহে রুপ নেয় এবং অন্তর সরকার মারধর ও বেশ কয়েকবার শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করেন স্ত্রী বর্ষাকে।  

মারধরের কিছুক্ষণ পর অন্তর নিজেই অচেতন অবস্থায় থাকা বর্ষাকে পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করলে অন্তর মরদেহ হাসপাতালে রেখেই পালিয়ে যান। 

পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইলিয়াছ জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত স্বামী পলাতক রয়েছে। তদন্ত রিপোর্টের পর হত্যা নাকি আত্মহত্যা বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে। এ ঘটনায় এখনো কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ করেনি।

রাকিবুল ইসলাম/আরআই