২০১৯ সালে ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিত ধামরাই উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীকে সহযোগিতা করেছিলেন বলে একটি অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে দাবি করেছেন ঢাকা ২০ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল মালেক। ওই অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যের একটি ভিডিও ক্লিপ এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। 

শনিবার (১৬ এপ্রিল) বিকেল থেকে তার বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এর আগে গতকাল ধামরাই সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের একটি ইফতার পার্টিতে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি এ বক্তব্য দেন।

ভাইরাল হওয়া ২২ সেকেন্ডের ভিডিও বক্তব্যে তিনি বলেন, মোয়াদ্দেস হোসেন উপজেলা চেয়ারম্যান হয়েছেন। চেয়ারম্যান বানানোর জন্য আমার অনেক সহযোগিতা ও পরিশ্রম ছিল। তাই আল্লাহ তাকে চেয়ারম্যান বানিয়েছেন। আমি বিশ্বাস করি, আমি বলতে চাই, আপনাদের সন্তানই মোয়াদ্দেস হোসেন উপজেলা চেয়ারম্যান হয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৯  সালের ৩১ মার্চ ধামরাই উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে  আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ছিলেন বর্তমান ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের ১ নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ধামরাই উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোয়াদ্দেছ হোসেন। এ নির্বাচনে ১৭০ ভোটে পরাজিত হন আওয়ামী মনোনীত প্রার্থী মিজানুর রহমান মিজান।

তৎকালীন আওয়ামী মনোনীত উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী মিজানুর রহমান মিজান বলেন, এই বক্তব্যটি আমি দেখেছি। এ ব্যাপারে আমার মন্তব্য হলো, তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা উচিত। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হয়ে বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছেন বলে ওপেন বক্তব্য দিয়েছেন। আমি মনে করি তার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে থাকার কোনো অধিকার নেই। আমি মোট ১৭০ ভোটে পরাজিত হয়েছিলাম। আর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মালেকের কেন্দ্রে আমি ৬০০ ভোটে হেরেছি। আর উনি গর্ব করে এখনও বলেন যে তিনি বিদ্রোহী প্রার্থীকে সহযোগিতা করেছেন। এ পদে থাকার তার যোগ্যতাই নেই।

এ বিষয়ে ধামরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ঢাকা ২০ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল মালেক বলেন, আমি বক্তব্যে বলেছি মোহাদ্দেস যখন ভাইস চেয়ারম্যান হিসাবে নির্বাচন করেছেন তখন আমি সহযোগিতা করেছি।

এ ব্যাপারে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ঢাকা ২০ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা বেনজীর আহমেদ বলেন, এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশনা রয়েছে। আওয়ামী লীগের পদে থেকে যিনি আওয়ামী মনোনীত প্রার্থীর বিপক্ষে কাজ বা সহযোগিতা করবেন তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে।

মাহিদুল মাহিদ/এসকেডি