যশোরের শার্শায় একটি সড়কে খড়ের গাদার মধ্যে ফেলে যাওয়া ছেলে নবজাতককে নিঃসন্তান এক দম্পতির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আগ্রহী ছয় নিঃসন্তান দম্পতিকে যাচাই-বাছাই শেষে রোববার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে শার্শা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাসনা শারমিন মিথি ওই দম্পতির কাছে নবজাতককে হস্তান্তর করেন।

এক দিন বয়সী নবজাতককে হস্তান্তরের আগে নতুন মা-বাবার পাশাপাশি দাদা ও নানার উপস্থিতিতে নবজাতকের নামকরণ হয় আব্দুর রহিম।

১৭ বছর নিঃসন্তান থাকা ওই দম্পতি নবজাতককে কোলে নেওয়ার পর আবেগঘন মুহূর্ত তৈরি হয়। পরে তার নামে ১০ শতক জমির দলিল রেজিস্ট্রি করানোর প্রতিশ্রুতি নিয়ে ওই নিঃসন্তান দম্পতির কাছে নবজাতককে তুলে দেওয়া হয়।

শার্শা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাসনা শারমিন মিথি ঢাকা পোস্টকে বলেন, জন্মানোর পর খড়ের গাদায় রেখে যাওয়া শিশুটিকে নেওয়ার জন্য ছয় নিঃসন্তান দম্পতি আবেদন করলে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা, শার্শা সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে তাদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। পরে আর্থিকভাবে সচ্ছল পরিবারের কাছে শিশুটিকে হস্তান্তর করার সিদ্ধান্ত হয়। শিশুটির নামে ১০ শতক জমির দলিল রেজিস্ট্রি করানোর প্রতিশ্রুতি নিয়ে এক নিঃসন্তান দম্পতির কাছে শিশুটিকে তুলে দেওয়া হয়।

নবজাতকের নতুন মা (৩৫) আবেগ প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, আল্লাহ আমার গর্ভে সন্তান দেননি। মাতৃত্বের স্বাদ পাইনি। কিন্তু আজ আমি সন্তান পেয়ে খুবই খুশি। তাকে সন্তানের মতো বড় করব।

প্রসঙ্গত, শনিবার রাতে শার্শা প্রেসক্লাবের পাশে একটি খড়ের গাদার মধ্যে এক নবজাতককে নড়াচড়া করতে দেখেন স্থানীয় আকরাম নামে এক ব্যক্তি। তিনি ৯৯৯ নম্বরে কল করে পুলিশকে ঘটনাটি জানান। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে উদ্ধার করে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

প্রাথমিক অবস্থায় লালন-পালনের জন্য খড়ের গাদার মালিক আকরাম হোসেন ও তার পরিবারের কাছে রাখা হয়েছিল।

জাহিদ হাসান/এনএ