খুলনার কয়রা উপজেলায় নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর এক নারী (২২) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ গণধর্ষণের শিকার ওই নারীকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নিয়েছেন। এ ঘটনায় ৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। এ ছাড়া মামলার প্রস্তুতি চলছে।

সোমবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে কয়রা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল হোসেন ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে রোববার (১৭ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার নলপাড়া গ্রামে ওই নারীর বাড়িতে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য সোহরাব আলী শেখ বলেন, ওই নারীর স্বামী ইটভাটায় কাজ করেন। কাজের সুবাদে তাকে বাড়ির বাইরে থাকতে হয়। দুর্বৃত্তরা বাড়ি ফাঁকা থাকার সুযোগ নিয়েছে। ভুক্তভোগী নারীর দুই বছর বয়সী এক সন্তান রয়েছে।

কয়রা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল হোসেন বলেন, গণধর্ষণের শিকার ওই নারীর (২২) স্বামী ইটভাটায় কাজ করেন। তিনি কিছুদিন ইটভাটার কাজে থাকেন, আবার কিছুদিন বাড়িতে থাকেন। তাদের ২/৩ বছরের একটি সন্তান রয়েছে। 

রোববার তার স্বামী ইটভাটার কাজে চলে যান। ওই নারী রাতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাহিরে বের হন। এ সময় কিছু লোক তাকে পেছন থেকে ধরে বসে এবং বলে তোর ঘরে লোক আছে। ওই নারী কেউ নেই বললে তারা তাকে বলে ঘরে নিয়ে দেখা। ঘরে যাওয়ার পর তারা তাকে ধর্ষণ করে। 

ভুক্তভোগীর ভাষ্যমতে কয়েকজন তাকে ধর্ষণ করে, আর কয়েকজন পাহারা দেয়। এ ঘটনায় চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। মামলার পর বলা যাবে কারা জড়িত এবং কয়জন আটক হয়েছে।

মোহাম্মদ মিলন/আরআই