ফেরি ধীরগতিতে চলায় দৌলতদিয়ায় ভোগান্তি
দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি ধীরগতিতে চলায় ভোগান্তির সৃষ্টি হয় বলে অভিযোগ করেছেন রাজবাড়ী বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুরাদ হাসান। সোমবার (১৮ এপ্রিল) সকালে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আসন্ন ঈদ উপলক্ষে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে যাত্রী ও যানবাহন নির্বিঘ্নে পারাপারের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভায় এই অভিযোগ করেন তিনি।
বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুরাদ হাসান বলেন, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি অনেক ধীর গতিতে চলে। ফেরি জোরে চললে টিপ সংখ্যা বাড়ে। মানুষের ভোগান্তিও কমে। কিন্তু তেল বেশি লাগার ভয়ে মাস্টাররা ফেরি অনেক ধীরগতিতে চালান। এতে ফেরির ট্রিপ সংখ্যা কমে গিয়ে ভোগান্তির সৃষ্টি হয়।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, সারা বছরই দুর্ভোগ থাকে দৌলতদিয়া ঘাটে। কয়েকদিন পরেই ঈদ। তখন যানবাহন ও যাত্রীর চাপ আরও বাড়বে। কিন্তু আমরা পরিবহনের চালক ও যাত্রীদের কাছ থেকে একটা অভিযোগ পাই, ফেরি খুব ধীরে চলে।
বিজ্ঞাপন
আসন্ন ঈদে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার নির্বিঘ্ন রাখতে ফেরির ট্রিপসংখ্যা বাড়ানোর দাবি জানান তিনি।
সভাই বিআইডব্লিউটিসির ব্যাবস্থাপক প্রফুল্ল চৌহান বলেন, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে বর্তমানে ১৯টি ফেরি চলাচল করছে। ঈদের আগে আরও দুটি ফেরি যুক্ত হবে। মোট ২১টি ফেরি চলবে ঈদের সময়। কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে ভোগান্তি থাকবে না।
এ সময় সভায় সিদ্ধান্ত হয় ঈদের তিন দিন আগে ও তিন দিন পরে ট্রাক পারাপার বন্ধ থাকবে দৌলতদিয়া পাটুরিয়া রুটে। তবে কাঁচামাল বোঝাই ট্রাক পার করা হবে। যাত্রীদের নিরাপত্তায় পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে দৌলতদিয়া ঘাটে।
জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খানের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন, রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সালাউদ্দিন, গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিজুল হক খান, গোয়ালন্দ পৌরসভার মেয়র মো. নজরুল ইসলাম, এনএসআই রাজবাড়ী অফিসের উপপরিচালক শরিফুল ইসলাম, বিআইডাব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক প্রফুল্ল চৌহান, বিআইডাব্লিউটিএ এর পোর্ট অফিসার শাহ আলম মিঞা, রাজবাড়ী বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুরাদ হাসানসহ অনেকে।
মীর সামসুজ্জামান/আরআই