মফিজুল ইসলাম

সাতক্ষীরায় হোটেল মালিক ও বাবুর্চির কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় নারী শ্রমিককে ও খুন্তি দিয়ে ছ্যাঁকা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গুরুতর আহত ওই নারীকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

আহত ওই নারী ঘটনার প্রতিকার পেতে সাতক্ষীরা সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। আহত নারীর বাড়ি আশাশুনি উপজেলার শীতলপুর গ্রামে।  

ওই নারী জানান, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার লাবসা বাইপাস সড়কের জিরো পয়েন্টে অবস্থিত হোটেল সিটি ইন-এ নারী শ্রমিক হিসেবে তিনি কয়েক মাস আগে কাজ নেন। প্রতিদিনের ন্যায় রোববার (১৭ এপ্রিল) হোটেল সিটি ইন-এ তিনি কাজে যান। কাজ করতে থাকার এক পর্যায়ে বাবুর্চি আজিজুল ইসলাম তাকে জড়িয়ে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা করে। 

এ সময় তিনি বাধা দিলে তাকে মারপিট করে এবং গরম খুন্তি দিয়ে তার শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে ছ্যাঁকা দেয়া হয়। গরম খুন্তির ছ্যাঁকা দেওয়ায় তার ডান স্তনের অর্ধেক অংশ পুড়ে গেছে। এছাড়া বুক, পিঠ, ঘাড় ও হাতের বিভিন্নস্থানে বড় বড় দাগ হয়ে গেছে। এই ঘটনা ধাপা চাপা দেয়ার জন্য হোটেল মালিক মফিজুল ইসলাম ও কবির হোসেন তাকে সারাদিন হোটেলের একটি রুমে আটকিয়ে রাখেন। এতে তার শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে রক্তক্ষরণ হয়। এক পর্যায়ে সহকর্মীদের সহযোগিতায় সেখান থেকে পালিয়ে অন্যদের সহযোগিতায় তিনি সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি হন।

তিনি আরও জানান, হোটেল সিটি ইনের দুই মালিক মালিক মফিজুল ইসলাম ও কবির হোসেন এবং বাবুর্চি আজিজুল ইসলাম প্রায়ই তাকে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। তিনি রাজি না হওয়ায় তাকে ঘটনার দিন এভাবে মারপিট করা হয়েছে এবং শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

অভিযুক্ত বাবুর্চি আজিজুল ইসলাম জানান, আমি তাকে (নারী) জড়িয়ে ধরেছিলাম। তখন সে আমাকে মারার জন্য উদ্যত্ত হলে আমি মারপিট করেছি। সেও আমাকে মেরেছে। আমি ভুল করেছি আর কখনও এরকম কাজ করব না।

হোটেল সিটি ইন-এর দুই মালিক মফিজুল ইসলাম ও কবির হোসেন জানান, দুর্ঘটনা ঘটে গেছে। আগামীতে আর এ রকম হবে না। তবে তারা হোটেলের নারী শ্রমিকদের যৌন নির্যাতনের বিষয়ে অস্বীকার করেন।

সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম কবির জানান, এ ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে

আকরামুল ইসলাম/এমএএস