প্রায় ষোল লাখ টাকার গম আত্মসাতের ঘটনায় দীর্ঘ ২৭ বছর পর নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার সাবেক খাদ্য পরিদর্শক ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (বর্তমানে বরখাস্ত) আব্দুল মতিনকে ১৪ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে দশ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে, আরও দুই মাসের কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে রংপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রেজাউল করিম দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি আব্দুল মতিন এজলাসে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে পুলিশি নিরাপত্তায় রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
 
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯০ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত কিশোরগঞ্জ খাদ্য গুদামে কর্মরত থাকাকালে আব্দুল মতিন দুই দফায় দুই লাখ ৪২ হাজার ১৫০ টাকা ও ১৩ লাখ ৪৯ হাজার ৪৪৫ টাকার গম গুদাম থেকে কালোবাজারে বিক্রি করে টাকা আত্মসাত করেন। এ ঘটনায় দুদক আইনে ১৯৯৫ সালে তার বিরুদ্ধে দুদকের পরিদর্শক এবিএম আব্দুস সবুর এবং তৎকালীন কিশোরগঞ্জ খাদ্য গুদাম নিয়ন্ত্রক আব্দুল ওয়াহেদ বাদী হয়ে পৃথক দুটি মামলা করেন।

বিশেষ জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) হারুন উর রশীদ জানান, সাবেক খাদ্য পরিদর্শক আব্দুল মতিনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়। দুদক মামলাটি সাক্ষ্য ও দালিলিক প্রমাণ দ্বারা সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। মামলা দুটির রায়ে আসামি সাত বছর করে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার করে জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের সশ্রম দণ্ডে দণ্ডিত করেছেন। একইসঙ্গে আগামী ত্রিশ দিনের মধ্যে আত্মসাত করা টাকা বাজেয়াপ্ত করে রাষ্ট্রের অনুকূলে জমা দানের নির্দেশ দেন।

ফরহাদুজ্জামান ফারুক/আরআই