পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন, হাওরে ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ কাজ দেরিতে শুরু হওয়ার কারণ রয়েছে। সময় মতো হাওর থেকে পানি নেমে যায়নি বলেই কাজ দেরিতে হয়েছে। কিন্তু সব পিআইসি (প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি) দেরিতে হয়নি। বেশিরভাগ কাজ কিন্তু সময় মতো হয়েছে। 

বুধবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে সুনামগঞ্জে হাওর পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ৭২৭টি পিআইসির ভেতরে কয়টা পিআইসির বাঁধ ভেঙেছে? মাত্র তিনটি জায়গায় ভেঙেছে। কিন্তু মিডিয়াকর্মীরা পুরো দেশের মানুষকে আতঙ্কিত করছেন, এটা কিন্তু ঠিক না।  

প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি নিয়ে তিনি বলেন, সুনামগঞ্জে ৭২৭টি পিআইসির মাধ্যমে ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। নিয়ম হলো যে এলাকার ফসল সে এলাকার মানুষকে কমিটিতে রাখার। সব কৃষকদের কাজ করার ক্ষমতা নেই। সবার আর্থিক অবস্থাও ভালো নয়। ম্যানেজ করে কাজ করার ক্ষমতা তাদের নেই। যারা দুর্বল সেখানেই কাজ ঠিকমতো হয়নি।
 
জাহিদ ফারুক বলেন, সুনামগঞ্জে ২ লাখ ২৩ হেক্টর জমিতে ফসল উৎপাদন হয়েছে। সেখানে মাত্র ৫ হাজার হেক্টর জমিতে ক্ষতি হয়েছে। এটা কোনো পারসেন্টিজে আসে না। তবে যে এলাকায় ক্ষতি হয়েছে সে এলাকার কৃষক ভাইদের জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি, সহযোগিতার ব্যবস্থা করব। কিন্তু এতে সার্বিকভাবে পুরো দেশের খাদ্যশস্য পরিমাণের মজুতের উপরে কোনো প্রভাব পড়বে না। এখানে খাদ্যশস্যের দাম বাড়ার কোনো সুযোগ নেই। আপনারা যদি এটাকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে অন্যভাবে রিপোর্টিং না করেন, তাহলে চালের দাম বাড়বে না। মিডিয়ার ভাইদের বিরাট একটা দায়িত্ব রয়েছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী প্রবীর কুমার গোস্বামী, সুনামগঞ্জ অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল হক প্রমুখ।

সাইদুর রহমান আসাদ/আরএআর