ফরিদপুরের সালথা উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের খারদিয়া গ্রামে গত বুধবার রাতে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতাকে আসামি করে দ্রুত বিচার আইনে মামলা করা হয়েছে।

শুক্রবার (২২ এপ্রিল) সকালে সালথা থানার উপ-পরিদর্শক মো. শহীদুল্লাহ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করা, সংঘর্ষে অংশ নিতে মানুষকে চাপ দেওয়া এবং সংঘর্ষ ও হামলার মাধ্যমে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টির অভিযোগে ২০০২ সালের (২০১৮ সংশোধনী) দ্রুত বিচার আইনে এ মামলাটি করা হয়।

মামলায় যদুনন্দী ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রফিক মোল্লা (৫০) ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর মিয়াসহ (৫৭) এজাহারভুক্ত আসামি করা হয়েছে ৫৯ জনকে। এ ছাড়া আরও অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।

গতকাল (বৃহস্পবিার) রাত ও দিনে অভিযান চালিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতাসহ নয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারদের এ মামলায় আসামি দেখানো হয়েছে। গ্রেপ্তার অন্য ব্যক্তিরা হলেন জামাল ফকির (৫৭), সাইফুল ইসলাম (৩৮), সৈয়দ রিয়াজুল হক মাসুম (৪০), আকতার সিকদার (৬৫), সজিব মোল্লা (৩৪), হায়দার মোল্লা (৫৪) ও ফরিদ মোল্লা (২৭)।

মামরার তদন্তকারী কর্মকর্তা সালথা থানার উপ-পরিদর্শক আবুল বাসেদ বলেন, দ্রুত বিচার আইনে দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার ওই নয়জনকে আজ (শুক্রবার) সাত দিন করে রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, সালথার যদুনন্দীতে দীর্ঘদিন ধরে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। এই বিরোধের জেরে সংঘর্ষ, বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এতে এক পক্ষের নেতৃত্ব দেন ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম এবং আরেক পক্ষের আওয়ামী লীগ নেতা আলমগীর মিয়া। 

গত ১০ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত ওই এলাকায় বিবাদমান দুই পক্ষের মধ্যে চার দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। প্রতিটি ঘটনায় পুলিশ গুলি ছুড়ে, কাঁদানে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ফাটিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ ব্যাপারে সহকারী পুলিশ সুপার (নগরকান্দা সার্কেল) সুমিনুর রহমার বলেন, আসামিদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাবাসবাদ করে তাদের সহযোগীদের নাম-পরিচয় জেনে তাদেরকেও গ্রেপ্তারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

জহির হোসেন/আরআই