ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে বিএনপির ইফতার মাহফিল পণ্ড করতে গিয়ে পুলিশের পিটুনির শিকার হন আওয়ামী লীগ ও এর সকল সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এতে পুলিশের ওপর ক্ষুব্ধ হয়েছেন তারা। 

সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর লাঠিচার্জের প্রতিবাদে পুলিশের বিরুদ্ধে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল করেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলো। 

রোববার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলা পরিষদের সামনে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কে ওই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় ঈশ্বরগঞ্জ থানা পুলিশের ওসিসহ জড়িতদের প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন তারা। 

এসময় ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়ক অবরোধ করা হলে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাফিজা জেসমিন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিলে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। 

এর আগে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শরিফুজ্জামান আকন্দ রানা, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জুনায়েদুল ইসলাম ভূঁইয়া সুমন, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এ.কে.এম ফরিদ উল্লাহ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সামি উসমান গণি প্রমুখ। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এ.কে.এম ফরিদ উল্লাহ জানান, বিএনপির অনুষ্ঠানে সরকার বিরোধী মন্তব্য করায় তারা এগিয়ে গেলে পুলিশের আক্রমণের শিকার হন। বিএনপির পক্ষ হয়ে পুলিশ তাদের নেতাকর্মীদের লাঠিপেটা ও মারধর করে। এতে তাদের কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানান তিনি। এরই প্রতিবাদে পুলিশের বিরুদ্ধে আমাদের এ মানববন্ধন এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঈশ্বরগঞ্জ থানা পুলিশের ওসি ও ওসি-তদন্তসহ ঘটনায় জড়িত সকল পুলিশ সদস্যদের প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।

উবায়দুল হক/এমএএস