হাওরে ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত তথ্য তুলে ধরা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন হাওর বাঁচাও আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ অভিযোগ করেন। 
এ সময় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে গণশুনানি করে হাওরে পানিতে ডুবে কৃষকের প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির চিত্র তুলে ধরার আহ্বান জানানো হয়। 

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, গত ২ এপ্রিল থেকে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধ ভেঙে ও নদীর পাড় উপছে ৩১টি হাওরের প্রায় ২০ হাজার হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে গেছে। এই বিপুল পরিমাণ ধান তলিয়ে গেলেও পানি উন্নয়ন বোর্ড, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রহস্যজনক কারণে ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত তথ্য তুলে ধরছে না।

সরকারি হিসেবে সোমবার (২৫ এপ্রিল) পর্যন্ত  হাওরের ৮০ ভাগ ধান কাটা শেষ হয়েছে এমন তথ্য সম্পর্কে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, এখনও হাওরে ৫০ ভাগ ধান কাটা বাকি থাকলেও কাগজে কলমে ধান কেটে ফেলছেন তারা। ছায়ার হাওরে মোট আবাদের ৪০ ভাগ ধান তলিয়ে গেলেও কৃষি বিভাগ বলছে ৯৫ ভাগ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলছেন ৯৮ ভাগ ধান কেটেছেন কৃষকরা। 
 
বাঁধের কাজে অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে পাহাড়ি ঢলে দুর্বল বাঁধ ভেঙে কৃষকের স্বপ্নের সলিল সমাধি হয়েছে উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, যেসব বাঁধ ভেঙে ফসল তলিয়ে গেছে, তা তদন্ত করে পিআইসিসহ সংশ্লিষ্টদের আইনের আওতায় আনতে হবে। 

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন হাওর বাঁচাও আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি চিত্তরঞ্জন তালুকদার, সুকেন্দু সেন, সাধারণ সম্পাদক বিজন সেন, সাংগঠনিক সম্পাদক একে কুদরত পাশা, জেলা কমিটির সভাপতি এয়াকুব বখত বহলুল প্রমুখ।

সাইদুর রহমান আসাদ/আরএআর