রাজশাহীর পুঠিয়ায় বিপুল পরিমাণ ভেজাল প্রসাধনী ও প্রসাধনী তৈরির উপকরণসহ দুই ভাইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৮টার দিকে উপজেলার ভাড়রা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।

গ্রেপ্তাররা হলেন ভাড়রা এলাকার আব্দুল লতিফের ছেলে মো. সুজন আলী (৩৩) ও বসির আহম্মেদ (৩২)। তবে পালিয়ে গেছেন এই কাণ্ডের মূল হোতা মো. রুবেল (৩৩)। তিনি একই এলাকায় মৃত আলাউদ্দিনের ছেলে।

পুলিশের ভাষ্য, এই অভিযানে ৫৭৬ পিস ভেজাল হারবাল ক্রিম, ২ হাজার পিস খালি মোড়ক, ৪৫ কেজি কেমিকেল ও প্রসাধনী তৈরির মেশিনসহ ৩ লাখ ৩৫ হাজার টাকার মালামাল জব্দ করা হয়েছে।

জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতে খায়ের আলম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই পলাতক রুবেল নিজ বাড়িতে ভেজাল প্রসাধনীর কারখানা চালিয়ে আসছিলেন। গোপন সংবাদ পেয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে সেখানে অভিযান চালায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) সনাতন চক্রবর্তীর তত্ত্বাবধানে এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম।

অভিযানে ওই বাড়ি থেকে ১২টি কার্টনে ৫৭৬ পিস ভেজাল লতা হারবাল ক্রিম, ২ হাজার পিস খালি কাগজের মোড়ক, ৩০ কেজি পাউডার ও দানাদার কেমিকেল, ১৫ লিটার তরল কেমিকেল, ২টি মেশিন, ২টি ড্রিল মেশিন, ডিজিটাল ওয়েট মেশিন, ২টি ক্লিপ টাইট মেশিন, গ্যাসের চুলা ও সিলিন্ডার, স্টিলের ড্রাম ও অ্যালুমিনিয়ামের পাতিল উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য ৩ লাখ ৩৫ হাজার ৮০০ টাকা।

ওই বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সুজন ও তার ভাই বসিরকে। তবে পালিয়ে যান রুবেল। পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সুজন ও বসির দীর্ঘদিন ধরে এই কাণ্ডে নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন তারা।

পুঠিয়া থানার মামলায় তাদের দুপুরের পর আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতে খায়ের আলম।

ফেরদৌস সিদ্দিকী/আরআই