মেট্রোরেলের নবম চালানে ৮টি কোচ ও ৪টি ইঞ্জিন নিয়ে মোংলা বন্দরে ভিড়েছে পানামা পতাকাবাহী বাণিজ্যিক জাহাজ এমভি হরিজন-৯। শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে মোংলা বন্দর জেটিতে নোঙর করে জাহাজটি। 

এর আগে চলতি মাসের ৬ এপ্রিল জাপানের কোবে বন্দর থেকে জাহাজটি মোংলার উদ্দেশ্য রওনা দেয়।

চালানে আসা মালামালের মধ্যে, ৮টি কোচ ও ৪টি ইঞ্জিনসহ ১৯টি প্যাকেজের মেশিনারি সরঞ্জামাদি রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদেশি জাহাজের স্থানীয় শিপিং এজেন্ট এনসিয়েন্ট স্টিম শিপ লিমিটেড কোম্পানির ব্যবস্থাপক মো. ওয়াহিদুজ্জামান।

তিনি জানান, পানামা পতাকাবাহী বাণিজ্যিক জাহাজ এমভি হরিজন-৯ জাহাজটি বন্দর জেটিতে নোঙরের পর থেকেই জাহাজ হতে মালামাল খালাসের কাজ শুরু হয়েছে। খালাস শেষে নদী পথে এসব কোচ, ইঞ্জিন ও মেশিনারি মালামাল মেট্রোরেলের ঢাকার উত্তরার দিয়াবাড়ী ডিপোতে নেওয়া হবে।
 
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ভারপ্রাপ্ত সচিব ও হারবার মাস্টার কমান্ডার শেখ ফখরউদ্দীন বলেন, মোংলা বন্দরে এ পর্যন্ত ৯টি চালানে মেট্রোরেলের ৫৬টি কোচ ও ২৮টি ইঞ্জিন এসেছে। এর আগে ৮টি চালানে আসা ৪৮টি কোচ ও ২৪টি ইঞ্জিন মোংলা বন্দর দিয়ে খালাসের পর তা ঢাকার উত্তরার দিয়াবাড়ী ডিপোতে পাঠানো হয়। ওইসব কোচ সংযোজনের পর পরীক্ষামূলকভাবে ঢাকায় মেট্রোরেলের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মো. মূসা বলেন, মোংলা বন্দরে মেট্রোরেলের ৮টি বগি পৌঁছেছে। খুব দ্রুত এসব সরঞ্জাম খালাস শেষ হবে।

মোংলা বন্দরের সক্ষমতা কয়েক বছরে বেশ বৃদ্ধি পেয়েছে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চুল্লিসহ মূল্যবান যন্ত্রাংশ মোংলা বন্দর দিয়ে এসেছে। আশা করি ভবিষ্যতে সরকার মোংলা বন্দরের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ মালামাল আনবেন। বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ইনারবার ড্রেজিংসহ অনেক কাজ চলমান রয়েছে। এসব কাজ শেষ হলে বন্দরের সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি পাবে।

তানজীম আহমেদ/আরআই