নওগাঁর মান্দায় মা-ছেলের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (৩০ এপ্রিল) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলার গণেশপুর ইউনিয়নের গণেশপুর মণ্ডলপাড়া গ্রাম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। 

নিহতরা হলেন- গণেশপুর গ্রামের ময়েন উদ্দিনের স্ত্রী আমিনা বেগম (২২) ও তার দুই বছরের ছেলে আমির হামজা। এ ঘটনায় নিহতের শাশুড়ি এজেদা বেগমকে (৪৫) আটক করেছে পুলিশ। ঘটনার পর ময়েন উদ্দিন ও তার বাবা আবেদ আলী পলাতক রয়েছেন। 

মান্দা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর রহমান বলেন, পাঁচ বছর আগে মান্দা থানার গণেশপুর মণ্ডলপাড়া গ্রামের আবেদ আলীর ছেলে ময়েন উদ্দিনের সঙ্গে জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার রাজাপুর দরগাপাড়া গ্রামের গোলাম মোস্তফার মেয়ে আমিনা বেগমের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে দুই বছরের এক ছেলে সন্তান রয়েছে। ময়েন উদ্দিন একজন চা দোকানি। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়িসহ সবাই আমিনাকে নির্যাতন করত। শনিবার বিকেলেও পরিবারের লোকজন সবাই মিলে তাকে নির্যাতন করে।

এতে ক্ষোভে রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাড়িতে কেউ না থাকায় শয়নকক্ষের দরজা বন্ধ করে আমিনা বেগম ও তার ছেলে আমির হামজা জুসের ভেতর কীটনাশক মিশিয়ে পান করেন। পরে ময়েন উদ্দিন এসে ঘরের ভেতর থেকে দরজা বন্ধ পান। অনেক ডাকাডাকির পর কোনো সাড়া না পাওয়ায় প্রতিবেশীর সহযোগিতায় ঘরের দরজা ভেঙে স্ত্রী ও ছেলের নিথর দেহে খাটের ওপর থাকতে দেখেন ময়েন উদ্দিন। পরে থানায় খবর দিলে রাত দেড়টার দিকে পুলিশ গিয়ে মা-ছেলের মরদেহ উদ্ধার করে। এ সময় কীটনাশকের বোতল উদ্ধার করা হয়।

তিনি বলেন, ঘটনার পর নিহতের শাশুড়ি এজেদা বেগমকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে। মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।

দেলোয়ার হোসেন/আরএআর