পর্যটকদের ভিড়ে মুখর নরসিংদীর ড্রিম হলিডে
স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে চলছে স্কাই ট্রেন, বুলেট ট্রেন। তাতে চড়ে উচ্ছ্বসিত-বিমোহিত শিশুসহ সব বয়সী দর্শনার্থীরা। তারা প্যাডেল বোটে চড়ে উপভোগ করছে। ঘুরে ঘুরে দেখছে ভূতের রাজ্য। এ যেন তাদের কাছে স্বপ্নপূরী। এমন দৃশ্য নরসিংদীর ড্রিম হলিডে পার্কের।
কর্তৃপক্ষ জানায়, স্কাইট্রেন, বুলেট ট্রেন, এয়ারবাইসাইকেল, সোয়ান বোট, ওয়াটার বোট, রোলার কোস্টার, সুইং চেয়ার, স্পিডবোটসহ মোট ২৫টি রাইড রয়েছে এ পার্কে। তবে রাইড প্রতি ৬০ থেকে ৩২০ টাকার আলাদা টিকিট ছাড়াও পার্কে ঢুকতে হলে জনপ্রতি গুনতে হচ্ছে ৩২০ টাকা।
বিজ্ঞাপন
সরেজমিনে বৃহস্পতিবার (৫ মে) ঈদের তৃতীয় দিন দেখা যায়, বৈরী আবহাওয়াকে উপেক্ষা করে এখানে ভিড় করেছে দর্শনার্থীরা। সকাল থেকেই গেটের সামনে গাড়ির সারি। একে একে গেট দিয়ে ঢুকছে তারা। এদিকে বিভিন্ন রাইডের টিকিট কাউন্টারের সামনে লেগেছে ভিড়।
প্রকৃতিও যোগ করেছে বাড়তি আবেশ। আকাশে রোদ-বৃষ্টির খেলা। সঙ্গে দর্শনার্থীদের বাঁধভাঙা আনন্দ। দলবেঁধে ছবি তোলা, রাইডে চড়ার উচ্ছ্বাস, ওয়াটার পার্কের ঢেউয়ের তালে তালে দুলছে তারা।
বিজ্ঞাপন
মো. মারুফ নামে এক দর্শনার্থী বলেন, ঈদের দিন অনেকটা ঘরে বসেই কেটেছে। আজ আকাশ পুরোপুরি পরিষ্কার না থাকলেও পরিবেশটা ভালো লাগছে। পরিবার নিয়ে এখানে ঘুরতে এসে আনন্দ পাচ্ছি।
সাইফুল কবির নামে একজন বলেন, ঢাকাতেই ঈদ উদযাপন করি আমি। অন্যান্য বছর ঈদের সময়টায় ঢাকার ভেতরেই ঘোরাফেরা করি। এ বছর প্রথমবারের মতো ঢাকার বাইরে এসেছি পরিবার নিয়ে। ঢাকার খুব কাছে এ রকম নান্দনিক একটা পরিবেশ পেয়ে খুব ভালো লাগছে আমার।
হৃদি ইসলাম নামে আরেক দর্শনার্থী বলেন, করোনার ঝুঁকি থাকায় গত বছরের ঈদে খুব একটা আনন্দ করতে পারিনি। এ বছর বান্ধবীদের নিয়ে ড্রিম হলিডেতে ঘুরতে এসেছি। সবাই দলবেঁধে ঘুরছি। রাইডগুলো উপভোগ করছি। ছবি তুলছি। সব মিলিয়ে ভালো লাগছে।
পার্কটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রবীর কুমার সাহা জানান, করোনার কারণে গত দুই বছর মানুষ অনেকটা ঘরবন্দি ছিল। এ বছর মানুষ ঘর থেকে বের হতে পেরেছে। আশা করছি এ বছর প্রচুর দর্শনার্থী আসবে এবং আগের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারব আমরা। এ ছাড়া দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে সিসিটিভি ক্যামেরাসহ আমরা সর্বোচ্চ সচেতন আছি।
রাকিবুল ইসলাম/এনএ