গোডাউনে সয়াবিন তেল মজুত রেখে কৃত্রিম সংকট তৈরি ও বেশি দামে বিক্রির দায়ে মানিকগঞ্জ শহরের দুধ বাজার এলাকার এক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এ সময় ওই প্রতিষ্ঠানের গোডাউন থেকে ১ হাজার ৩০০ লিটার তেল জব্দ করা হয়। পরে জব্দকৃত সয়াবিন তেল ক্রেতাদের মাঝে নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি করা হয়।

শুক্রবার (১৩ মে) বিকেলে মানিকগঞ্জ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

জানা গেছে, মানিকগঞ্জ শহরের বিভিন্ন বাজারে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সয়াবিন তেল অবৈধভাবে মজুত রেখেছেন। তারা এসব তেলের বোতল খুলে খোলাবাজারে বেশি দামে বিক্রি করে আসছেন। এমন খবর পেয়ে দুপুরে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আবদুল লতিফের নির্দেশনায় মানিকগঞ্জ শহরের দুধ বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় কালীপদ অ্যান্ড সন্স নামে তীর সয়াবিন তেলের ডিলারের গুদামে অভিযান চালিয়ে পাঁচ লিটার ও দুই লিটারের বোতল মিলে ১ হাজার ৩০০ লিটার সয়াবিন তেল পাওয়া যায়।

গুদামে পাওয়া এসব তেলের বোতল গত রমজান মাসে মজুত করে রাখা হয়েছে। সে সময় পাঁচ লিটার এক বোতল সয়াবিনের মূল্য ছিল ৭৯৫ টাকা। বর্তমানে দাম বাড়ায় প্রতি পাঁচ লিটার সয়াবিন তেলের মূল্য ৯৯০ টাকা। তবে বোতলে আগের মূল্য থাকায় ক্রেতাদের কাছে তা বিক্রি না করে খুলে বিক্রি করা হয়। এতে প্রতি লিটার তেলে ২০ টাকা হারে অতিরিক্ত লাভে বিক্রি করা হচ্ছে। কালীপদ অ্যান্ড সন্সের গুদামে অবৈধভাবে তেল মজুত করার দায়ে প্রতিষ্ঠানটির মালিক নিরঞ্জন বণিককে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল বলেন, চাহিদা অনুযায়ী বাজারে তেল সরবরাহ না করায় বাজারে তেলের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি হয়েছে। উচ্চ মুনাফার আশায় ডিলার এমনটি করেছেন। এমন অসাধু ব্যবসায়ীদের জন্যই বাজারে বোতলজাত তেলের সংকট সৃষ্টি হয়েছে।
 
অভিযানে মানিকগঞ্জ ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক এবিএম শামসুন্নবী তুলিপ এবং আনসার সদস্যরা সহযোগিতা করেন।

সোহেল হোসেন/আরএআর