কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পূর্বশত্রুতার জের ধরে জাতীয় যুব জোটের নেতা মাহবুব খান সালামকে (৪০) হাত-পায়ের রগ কেটে হত্যার ঘটনায় ২২ জনের নামে মামলা করা হয়েছে। শুক্রবার (১৩ মে) নিহত সালামের বাবা এনামুল হক বাদী হয়ে এ মামলা করেন। এ ঘটনায় তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

দৌলতপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবীদ হাসান বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের জুন মাসে উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের কল্যাণপুর এলাকায় কথিত তাছের পীরের দরবারে এক তরুণ খুন হন। ওই হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ছিলেন সালাম। এ নিয়ে তার সঙ্গে এলাকার কয়েকজনের বিরোধ ছিল। জামিনে তিনি এলাকায় ছিলেন। এরপর গত বছর ওই পীরের দরবারে হামলার ঘটনা ঘটে। এসব নিয়ে হোগলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সেলিম চৌধুরীর সঙ্গে সালামের বিরোধ সৃষ্টি হয়।

গত বুধবার (১১ মে) রাত ১১টার দিকে পূর্বশত্রুতার জের ধরে দৌলতপুর উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সেলিম চৌধুরী ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি টোকেন চৌধুরীর নেতৃত্বে ২০-২৫ জন সালামের ওপর হামলা চালায়। তারা সালামকে কোপায় ও হাত-পায়ের রগ কেটে দেয়। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত দেড়টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

থানা সূত্রে জানা য়ায়, সালাম হত্যার ঘটনায় সাবেক সংসদ সদস্য রেজাউল হক চৌধুরীর ছোট ভাই হোগলবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা সেলিম চৌধুরী, তার ভাই উপজেলা যুবলীগের সভাপতি বুলবুল আহমেদ টোকন চৌধুরী, ভাতিজা তুষন চৌধুরী, আসাদুজ্জামান লোটন চৌধুরী ও ভাইয়ের জামাই স্বপনসহ ২২ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। এ মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি মজিবুল, সোহানুর রহমান ও মেহেদিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

দৌলতপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবীদ হাসান ঢাকা পোস্টকে বলেন, নিহত সালামের বাবা বাদী হয়ে ২২ জনের উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৮ থেকে ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। এজাহারভুক্ত তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিরা পলাতক। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। 

রাজু আহমেদ/আরএআর