খুলনায় বিদ্যুৎ ভবনের দেয়াল ধসে শিশু তামিমের মৃত্যু ও দুই শিশু আহতের ঘটনায় ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ওজোপাডিকো। শুক্রবার (১৩ মে) রাতে ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মো. নাজমুল হুদা।

তিনি বলেন, কোম্পানির প্রধান প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমানকে আহ্বায়ক ও তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (বাণিজ্যিক) মো. রোকনুজ্জামানকে সদস্য সচিব করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন ডিজিএম (অডিট) মো. আজিজুর রহমান, সহকারী ব্যবস্থাপক (নিরাপত্তা) মো. মোমিনুর রহমান ও সহকারি প্রকৌশলী (সিভিল) নজরুল ইসলাম।

তিনি আরও বলেন, গঠিত তদন্ত কমিটি দেয়াল ধসের কারণসহ সার্বিক বিষয়ে তদন্ত করবে। তদন্ত কমিটিকে আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।    

এর আগে শুক্রবার (১৩ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর করিমনগর এলাকায় অবস্থিত ওজোপাডিকোর জরাজীর্ণ সীমানাপ্রাচীর ধসের ঘটনায় তিন শিশু আহত হয়। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহত শিশু তামিম (৭) মারা যায়।

সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক ঢাকা পোস্টকে বলেন, দেয়াল ধসে আহত সাত বছরের শিশু তামিম চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে

আহতরা হলো করিমনগর এলাকার মিঠুর ছেলে তামিম (৭), মাসুদ রানার ছেলে ইয়ামিন (১০) ও রাব্বি। এদের মধ্যে তামিম ও ইয়ামিনের আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ছাড়া প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রাব্বিকে ছেড়ে দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে তামিম চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, করিমনগর এলাকায় অবস্থিত ওজোপাডিকোর প্রধান কার্যালয়ের পেছনের দেয়াল অনেক পুরাতন ও জরাজীর্ণ। স্থানীয়রা কর্তৃপক্ষকে প্রাচীরটি সংস্কার করার জন্য বারবার অনুরোধ করেন। সেই দেয়াল সংস্কার করার জন্য সম্প্রতি দুই পাশের প্লাস্টার খুলে ফেলা হয়েছে। দেয়ালটি সংস্কার করা হচ্ছিল।

শুক্রবার হঠাৎ প্রায় ১০০ ফুট দেয়াল ধসে পড়ে। এ সময় দেয়ালের পাশে খেলাধুলারত ৩ শিশু আহত হয়। এর মধ্যে তামিম ও ইয়ামিন গুরুতর আহত হয়। তামিমের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে প্রথমে খুমেক হাসপাতালে ও পরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তামিমের মৃত্যু হয়।

মোহাম্মদ মিলন/আরআই