সিসিক মেয়রসহ কর্মকর্তাদের ওপর শ্রমিকদের হামলা
সিসিক মেয়রসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর হামলা মাইক্রোবাস শ্রমিকদের
সিলেট নগরের চৌহাট্টায় অবৈধ স্ট্যান্ড উচ্ছেদ কেন্দ্র করে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর হামলা চালিয়েছে মাইক্রোবাস শ্রমিকরা। এ সময় পিস্তলসহ এক যুবককে আটক করে পুলিশ। হামলায় কমপক্ষে তিনজন আহত হয়। বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
পিস্তলসহ আটক যুবকের নাম ফাহাদ। সে নগরের পীরমহল্লা এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে। তার পিস্তলের ভেতর থেকে ৩ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
বিজ্ঞাপন
জানা গেছে, সিসিক কর্তৃপক্ষ স্ট্যান্ড উচ্ছেদ করতে চাইলে শ্রমিকরা স্ট্যান্ডের জন্য জায়গা চান। একপর্যায়ে জায়গা না দিলে শ্রমিকরা গাড়ি নিয়ে সরবেন না বলে জানালে দেখা দেয় উত্তেজনা। পরে সিসিকের পক্ষ থেকে উচ্ছেদ কাজ শুরু করতে চাইলে শ্রমিকরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও লাঠি নিয়ে হামলা চালায়।
এ ঘটনায় কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ছাড়াও উভয়পক্ষের কমপক্ষে তিনজন আহত হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এ সময় পুলিশ পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।
বিজ্ঞাপন
শ্রমিকদের দাবি, সিসিক কর্তৃপক্ষ জোরপূর্বক উচ্ছেদের চেষ্টা চালায় এবং গাড়ি ভাঙচুর করে। এ সময় শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে হামলা চালান।
অপরদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা উপস্থিত রয়েছেন। দুপুর আড়াইটায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পরিস্থিতি থমথমে রয়েছে।
এদিকে শ্রমিকনেতা আলী আকবর রাজন দাবি করেন, ‘আমরা সরে যেতে রাজি। কিন্তু অন্য কোথাও আমাদের গাড়িগুলো রাখার জন্য কিছু জায়গা দেওয়া হোক।’
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ বলেন, ‘সিলেট সিটি করপোরেশন অবৈধ স্ট্যান্ড উচ্ছেদ করতে গেলে শ্রমিকরা হামলা চালায়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখনও পুলিশ চৌহাট্টার ঘটনাস্থলে আছে। বন্দুকসহ একজনকে আটক করা হয়। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সিলেটে হুমায়ুন রশিদ চত্বরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছেন শ্রমিকরা। সেখানে অবস্থানরত দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ জানায়, বুধবার দুপুরে হামলার ঘটনার পর দুপুর আড়াইটা থেকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছেন শ্রমিকরা। সড়কের মাঝপথে রেখে দেওয়া হয়েছে বাস। পুলিশ ওই বাসের সামনে অবস্থান করছে।
হুমায়ন রশিদ চত্বরে এসে দেখা যায়, সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে যানবাহন আটকে আছে। ধীরে ধীরে যানজট বাড়ছে। এই সড়ক বন্ধ থাকার কারণে নগরের অন্যান্য সড়কে চাপ বেড়েছে। ফলশ্রুতিতে নগরের ভেতরেও দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনা মীমাংসায় দক্ষিণ সুরমা থানায় শ্রমিক-প্রশাসন বৈঠক চলছে।
তুহিন আহমেদ/এমএসআর