কান্না করতে করতে মূর্ছা যাচ্ছেন নিহত তৃষা মনির মা

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলায় সড়কের পাশে অন্য শিশুদের সঙ্গে খেলার সময় ট্রাক্টরের চাপায় তৃষা মনি (৩) নামে এক শিশু নিহত হয়েছে।

শিশুটি নিহত হওয়ার পর কান্না করতে করতে মূর্ছা যাচ্ছেন তার মা। মেয়েকে কাছে পাবেন না, কোলে নিতে পারবেন না বলে চিৎকার দিয়ে কাঁদছেন এই মা। কোনোভাবেই তার কান্না থামাতে পারছেন না স্বজন ও স্থানীয়রা।

বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার ভাদুর ইউনিয়নের হানুবাইশ গ্রামের মাটিবাহী ট্রাক্টরের চাপায় তৃষা মনি নিহত হয়। ঘটনার পরপরই ট্রাক্টরচালক পালিয়ে যান। নিহত তৃষা মনি হানুবাইশ গ্রামের অলিবাড়ির দিনমজুর আবদুর রশিদের মেয়ে।

স্থানীয়রা জানায়, ঘটনার সময় অলিবাড়ির মসজিদ সংলগ্ন সড়কের পাশে তৃষা ও অন্য শিশুরা খেলছিল। এ সময় মাটিবাহী একটি ট্রাক্টর বেপরোয়া গতিতে এসে তৃষাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তৃষা নিহত হয়। স্থানীয়রা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। 

কান্না করতে করতে তৃষার বাবা আবদুর রশিদ বলেন, আমার মেয়েকে ওরা মেরে ফেলেছে। আমার কোলশূন্য করেছে। মেয়েটাকে আর কোলে নিতে পারব না। ভাবতেই আমার বুকটা ফেটে যায়।

স্থানীয় ব্যবসায়ী আবদুস সালাম বলেন, এসব ট্রাক্টর নিষিদ্ধ করা হলেও বন্ধ হচ্ছে না। এসব ট্রাক্টরের চালকদের লাইসেন্স নেই। স্থানীয়ভাবে এসব ট্রাক্টর বন্ধের জন্য বৈঠক হলেও একটি মহলের চাপে হয়নি। আমরা অবৈধ এসব ট্রাক্টর বন্ধের দাবি জানাই।
 
ভাদুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, তৃষার বাবা গরিব মানুষ। মেয়েকে হারিয়ে শিশুটির মা কান্না করতে করতে মূর্ছা যাচ্ছেন। তাদের সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা নেই। আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ট্রাক্টরচালক এবং মালিককে খবর দেওয়া হয়েছে।

রামগঞ্জ থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) কার্তিক চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তৃষার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

হাসান মাহমুদ শাকিল/এএম