ভোলায় স্থানীয় ধাত্রীর মাধ্যমে এক প্রসূতি মায়ের সন্তান প্রসবের সময় জরায়ু ছিঁড়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ শুরু হয়। পরে তিনি মৃত্যুর ঝুঁকিতে পড়েন। খবর পেয়ে প্রসূতির পাশে রক্ত নিয়ে হাজির হন ভোলা ব্লাড ডটকমের সদস্যরা।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার (২৬ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভোলার দৌলতখান উপজেলা চরখলিফা ইউনিয়নে ৬ নম্বর ওয়ার্ডের দিনমজুর মো. আলামিনের স্ত্রী লাইজু বেগমের প্রসবব্যথা উঠলে স্থানীয় ধাত্রীর মাধ্যমে তার নিজ বাড়িতে ছেলেসন্তানের জন্ম দেন। এ সময় লাইজু বেগমের জরায়ু ছিঁড়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ঝুঁকি বেড়ে গেলে স্বজনরা তাকে ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন।

রোগীর স্বজন মো. হারুন মিয়া বলেন, লাইজুর এ অবস্থা দেখে ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, তাকে বাঁচাতে হলে তাৎক্ষণিক সাত ব্যাগ বি পজিটিভ রক্ত প্রয়োজন। ঘণ্টাখানেক পার হলেও কোনো রক্তের ব্যবস্থা করতে পারিনি। তখন সদর হাসপাতালে ডিউটিতর পুলিশ সদস্য মামুন ভোলা ব্লাড ডটকমকে অবগত করেন। তারপর ভোলা ব্লাড ডটকমকের সভাপতি মো. এনায়েত পাঁচ ব্যাগ বি পজিটিভ রক্ত দেওয়ার জন্য ডোনার নিয়ে হাজির হন। তাদের সহযোগিতায় মৃত্যুঝুঁকি থেকে লাইজু বেগম সুস্থ হন।

এ বিষয়ে ভোলা সদর হাসপাতালে ডিউটিরত পুলিশ সদস্য মো. মামুন জানান, হাসপাতালে প্রসূতি লাইজু বেগমের স্বজনরা ব্লাডের জন্য ছোটাছুটি করছিল। তা দেখে পরে আমি বিষয়টি ভোলা ব্লাড ডটকমকে অবগত করি। তারা ওই প্রসূতিকে পাঁচ ব্যাগ রক্তের ব্যবস্থা করে দেয়।

ভোলা ব্লাড ডটকমকের সভাপতি মো. এনায়েত জানান, ভোলা সদর হাসপাতালে ওই প্রসূতির মৃত্যুঝুঁকির কথা শুনে পাঁচ ব্যাগ রক্তের ব্যবস্থা করি। মহান আল্লাহ তাআলা ব্লাড ডটকমকের পাঁচ সদস্যের রক্তের ওসিলায় প্রসূতি বোনকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচতে সহযোগিতা করাই আমাদের প্রাপ্তি।

ইমতিয়াজুর রহমান/এনএ