মোবাইলে ৩৪ বছর বয়সী স্বামী পরিত্যক্তা এক নারীর সঙ্গে ২৩ বছরের এক যুবকের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দীর্ঘদিন ধরে চলে প্রেম। এরপর একদিন প্রেমিকাকে নিজ বাড়িতে ডেকে নেন প্রেমিক। তারা সেখানে একান্তে সময় কাটান। কিন্তু প্রেমিকা বিয়ের জন্য চাপ দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হন প্রেমিক। গলা টিপে হত্যা করেন প্রেমিকাকে। গুম করেন মরদেহ।

বগুড়ার শাহজাহানপুর উপজেলায় উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাত একটি মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করতে জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার এক যুবককে গ্রেপ্তার করে এসব তথ্য জানতে পারে পুলিশ। গত শুক্রবার (২৭ মে) রাত ৩টার দিকে ক্ষেতলাল উপজেলার আলমপুর শিবপুর এলাকার গ্রেপ্তার ওই যুবকের বাড়ি থেকে প্রেমিকার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. শারাফত ইসলাম ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

গ্রেপ্তার যুবকের নাম উজ্জ্বল হোসেন (২৩)। তিনি ক্ষেতলাল উপজেলার আলমপুর শিবপুর গ্রামের শাহ আলমের ছেলে। নিহত ওই নারীর নাম বিউটি বিবি (৩৪)। তিনি বগুড়ার শিবগঞ্জ দামপাড়া গ্রামের মৃত বেলায়েত হোসেনের মেয়ে। তার ১২ বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শারাফত ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঈদের পরে বগুড়ার শাহজাহানপুর থানার একটি এলাকার বাঁশবাগানে অজ্ঞাত এক নারীর মরদেহ পাওয়া যায়। পরে শিবগঞ্জ থানা এলাকার একটি পরিবার দাবি করে মরদেহটি তাদের। কিন্তু তাদের দেওয়া তথ্য মেলে না। এরপর সেই তথ্য নিয়ে আমরা কাজ শুরু করে ক্ষেতলালের ওই যুবককে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি বলেন- তার প্রেমিকাকে হত্যা করে অব্যবহারযোগ্য একটি টয়লেটের ট্যাংকের মধ্যে মরদেহ ফেলে দিয়েছে। আমরা ওই নারীর গলিত মরদেহ উদ্ধার করে ক্ষেতলাল থানা পুলিশে হস্তান্তর করেছি। সেখানে মামলা হবে।

ক্ষেতলাল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন ইয়াদানী ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিউটির সঙ্গে উজ্জ্বলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত ২১ এপ্রিল ওই নারী নিখোঁজ হন। সে সময় প্রেমিকের ডাকে তার বাড়িতে আসেন এবং বিয়ের চাপ দেন। এরপর তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন প্রেমিক এবং মরদেহ বাড়ির টয়লেটের ট্যাংকের মধ্যে মাটি চাপা দিয়ে পুঁতে রাখা হয়। এ বিষয়ে থানায় হত্যা মামলা হয়েছে। আসামিকে রোববার (২৯ মে) আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 

চম্পক কুমার/আরএআর