কুষ্টিয়ার সদর উপজেলায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মাছ চাষের পুকুরে বিষ প্রয়োগ করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। বিষ প্রয়োগের কারণে প্রায় ৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা মূল্যের মাছ মরে গেছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী। সোমবার (৩০ মে) দিবাগত রাতে উপজেলার মনোহরদিয়ার কন্দপদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানায় ৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। 

মঙ্গলবার (৩১ মে) এজাহারভুক্ত আসামি ছানাউল্লাহ নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান রতন। 

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৫ বছর ধরে ছয়ঘরিয়া গ্রামের মৃত জসিম মণ্ডলের ছেলে জলিল মণ্ডলের ৮০ শতাংশের একটি পুকুর লিজ নিয়ে মাছচাষ করে আসছেন আনোয়ার হোসেন। ওই পুকুর লিজ নেওয়াকে কেন্দ্র করে একই এলাকার মিজানুর রহমান মিজান (৩৫), ছানাউল্লাহ (৬২), সাইফুল রহমান, রাশিদুল ও মন্টু সরদারদের সঙ্গে আনোয়ারের বিরোধ সৃষ্টি হয়।

সেই বিরোধের জের ধরে গতকাল (সোমবার) দিবাগত রাত ২টার দিকে আনোয়ার ও তার ছেলে পুুকুর পাহারা দেওয়ার সময় আসামিরা বাঁশের লাঠি, কাঠের বাটাম নিয়ে ওই পুকুরে প্রবেশ করে এবং কীটনাশক প্রয়োগ করতে থাকে। এ সময় বাধা দিলে আনোয়ার ও তার ছেলেকে মারপিট করে আসামিরা। 

তাদের চিৎকারে লোকজন এগিয়ে এলে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায় আসামিরা। বিষ প্রয়োগের ফলে পুকুরে থাকা বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৮ লাখ ৪০ হাজার টাকার মাছ মারা যায়। 

এ বিষয়ে মামলার বাদী আনোয়ার জানান, প্রায় ৯ লাখ টাকার মাছ মরে যাওয়ায় আমি একদম নিঃস্ব হয়ে গেছি। পুকুরে বিষ প্রয়োগের পরও তারা বিভিন্নভাবে আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে। আমি এই ঘটনার সঠিক বিচার চাই।

এ বিষয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান রতন ঢাকা পোস্টকে বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে ৮-৯ লাখ টাকার মাছ মেরে ফেলেছে প্রতিপক্ষ। এ বিষয়ে থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করছি। একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর সঙ্গে জড়িতদেরকেও দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে। 
 
রাজু আহমেদ/আরআই