ঝিনাইদহ পৌরসভা নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র ও আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সর্মথকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী কাইয়ুম শাহরিয়ার জাহিদী হিজল ও তার বড় ভাইসহ আহত হয়েছেন অন্তত সাতজন। 

বুধবার (০১ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে জেলা শহরের ধুপাঘাটা নতুন ব্রিজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর জেলা শহরে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েন করা হয়েছে।

স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী হিজল অভিযোগ করে বলেন, পৌর এলাকার উদয়পুর গ্রামে জনসংযোগ করে গোবিন্দপুর এলাকায় আসা মাত্র আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আব্দুল খালেকের সর্মথকরা হামলা করে। এ সময় ইাটপাটকেল নিক্ষেপসহ বেদমভাবে মারপিট করা হয়। এক পর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করলে গুরুতর আহত হন তিনি। একই সময় বড় ভাই পিপুলকে বেদমভাবে মারতে থাকে হামলাকারীরা।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সর্মথকদের হামলায় আরও অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন। নির্বাচনে পরাজয় ঠেকাতে এ ধরনের হামলার ঘটনা ঘটনানো হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই এমপি ঢাকা পোস্টকে বলেন, এক পক্ষে ঘটনা ঘটেনি। দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী আহত হয়েছে বলে শুনেছি।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীর লোকজন আওয়ামী লীগের সর্মথকদের ওপর আগে চড়াও হয়েছে। এমনকি স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীর পিস্তল থেকে গুলি বর্ষণ করা হয়েছে। গুলি বর্ষণ করা নিয়ে ঘটনাটি ঘটেছে বলে দাবি করেন তিনি।

পুলিশ সুপার মো. মুনতাসিরুল ইসলাম বলেন, স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীর ওপর হামলার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আওয়ামী লীগের জেলা সভাপতির অভিযোগে বিষয়ে তিনি বলেন, স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীর ওপর হামলাকারীরা সেখানে অবস্থান করছে এবং রাস্তা বন্ধ করে মিছিল করছে- এমন খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে যায় এবং দুইজনকে আটকের চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশের ওপর হামলা চালায় তারা। এতে করে উপস্থিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ হালকা লাঠিপেটা করেছে।

প্রসঙ্গত, ১৫ জুন ঝিনাইদহ পৌরসভার নির্বাচন। এ নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হয়েছে চারজন। নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়ছেন মো. আব্দুল খালেক, স্বতন্ত্র প্রার্থী কাইয়ুম শাহারিয়ার জাহিদী হিজল (নারকেল গাছ), মিজানুর রহমান মাসুম (মোবাইল) এবং ইসলামী অন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মো. সিরাজুল ইসলাম (হাতপাখা)।

আব্দুল্লাহ আল মামুন/এসপি