চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের মধ্যে একজন শেরপুর জেলার রমজানুল ইসলাম রনি (২৫)।

সদর উপজেলার চরশেরপুর ইউনিয়নের বালুঘাটা গ্রামের আকরাম হোসেন ওরফে আঙুরের ছেলে রনি। তার মৃত্যুতে নিজ গ্রামসহ পুরো জেলায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

নিহত রনির পরিবার সূত্রে জানা, তিনি দেড় বছর আগে ফায়ার সার্ভিসের চাকরিতে কর্মী হিসেবে যোগ দেন এবং তিন মাস আগে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে বদলি হন। তিনি আট মাস আগে বিয়ে করে স্ত্রী রুপাকে নিয়ে সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কাছেই বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করছিলেন।

গত শনিবার রাতে সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে অন্য সহকর্মীদের সঙ্গে আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে পৌঁছান রমজানুল ইসলাম রনি। এরপর থেকে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তার কোনো যোগাযোগ ছিল না। পরে অন্য ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা তার পরিবারকে জানান, দায়িত্ব পালনকালে কনটেইনার বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ হয়ে রনি মারা যান।

এ বিষয়ে রনির মামা অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য মো. মুকুল আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, রনি দুই ভাই ও দুই বোনের মধ্যে সবার বড়। দেড় বছর আগে তার ফায়ার সার্ভিসে ফায়ার ফাইটার হিসেবে চাকরি হয়। প্রশিক্ষণ শেষে তার চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে পোস্টিং হয়। আর সেখানেই সে চাকরিরত ছিল।

তিনি আরও বলেন, গত শনিবার (৪ জুন) সন্ধ্যায় সহকর্মীদের ফোন পেয়ে বাসা থেকে বের হয়ে আগুন নেভাতে যায় সে। এরপর অনেক খোঁজাখুজি করে তার মরদেহ পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম হাসপাতালের মর্গে রনির মরদেহ শনাক্ত করে তার স্ত্রী।

এদিকে সন্তানের মৃত্যুর খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। তবে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া বিকৃত মরদেহের ছবি ও গেঞ্জি দেখে তার স্ত্রী শনাক্ত করেছেন। বর্তমানে রনির মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে বলে জানান তিনি।

জাহিদুল খান সৌরভ/এনএ