আশুলিয়ার সেই বিরিয়ানিতে কুকুরের মাংসের অস্তিত্ব নেই
সাভারের আশুলিয়ায় সেই বিরিয়ানিতে কুকুরের মাংসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। দীর্ঘ ২৬ দিন পর পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে বোভাইন বা তৃণভোজী প্রাণী যেমন, গরু, ছাগল, মহিষ কিংবা ভেড়ার মাংস বলে প্রমাণিত হয়েছে।
শনিবার (১১ জুন) রাত ১০ টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুব্রত রায়। এর আগে গত ১৫ মে আশুলিয়ার নরসিংহপুর এলাকার আল্লাহর দান-৫ নামে একটি বিরিয়ানি হাউস থেকে ওই মাংস জব্দ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়।
বিজ্ঞাপন
আশুলিয়া থানার এসআই সুব্রত রায় বলেন, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় রোগ অনুসন্ধান গবেষণাগারের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা এটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে রিপোর্ট দিয়েছেন। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ওই বিরিয়ানিতে কুকুরের মাংসের অস্তিত্ব মেলেনি।
রিপোর্ট বিশ্লেষণ করে জানা যায়, মলিক্যুলার টেস্ট বা আণবিক পরীক্ষার ফলাফল বলছে এটি কুকুরের মাংস নয়। কেন্দ্রীয় রোগ অনুসন্ধান গবেষণাগারের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. গোলাম আজম চৌধুরী স্বাক্ষরিত রিপোর্টে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এ ব্যাপারে ড. গোলাম আজম চৌধুরী বলেন, আমরা মাংসের নমুনা পিসিআর টেস্ট ও মলিক্যুলার টেস্ট করে দেখেছি সেটি কুকুরের মাংস নয়। বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে আমরা নিশ্চিত হয়েছি এই মাংস বোভাইন বা তৃণভোজী প্রাণী যেমন, গরু ,ছাগল, মহিষ কিংবা ভেড়ার মাংস। এই চারটি প্রাণীর মধ্যে যেকোনো একটি মাংস এটি।
জানতে চাইলে সাভার উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. সাজেদুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা রিপোর্ট আশুলিয়া থানা পুলিশের কাছে পাঠিয়েছি। যে স্যাম্পল পাঠিয়েছি তা কুকুরের মাংস নয়। আমাদের এখানে ল্যাব না থাকায় ঢাকায় পাঠালে তারা এ রিপোর্ট দিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৫ মে সাভারের আশুলিয়ায় নরসিংহপুরে আল্লাহর দান বিরিয়ানি হাউস-৫ নামে একটি হোটেলের মাংস নিয়ে সন্দেহ করেন এক নারী। এ নিয়ে ব্যাপক জনরোষে পড়েন দোকানের মালিক রাজিব। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে তাকে আটক করে ৫৪ ধারায় আদালতে পাঠানো হয়।
মাহিদুল মাহিদ/এসকেডি