মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলায় কলেজছাত্র আরিফ হোসেন (২৫) হত্যা মামলায় দুইজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রোববার (১২ জুন) বিকেলে মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক উৎপল ভট্টাচার্য্য আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় দেন।

একই সঙ্গে প্রত্যেক আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও অপর ছয়জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়া তাদের বেকসুর খালাস দিয়েছেন বিচারক।

নিহত আরিফ হোসেন মানিকগঞ্জের দৌলতপুরের কাকনা এলাকার শুকুর আলীর ছেলে। তিনি মানিকগঞ্জ সরকারি দেবেন্দ্র কলেজের (অনার্স) বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন। 

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মানিকগঞ্জের দৌলতপুরের কাকনা এলাকার মাইনুদ্দিনের ছেলে মো. লিংকন (৪০) ও একই এলাকার স্বরুপ আলীর ছেলে আলতাফ হোসেন (৪০)।

মামলার এজাহার ও আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০৫ সালের ২৭ মার্চ রাত সাড়ে ৯টার দিকে কলেজছাত্র আরিফ হোসেনকে পূর্বশত্রুতার জের ধরে হত্যা করে মরদেহ ছিলামপুর সেতুর নিচে কচুরিপানার ভেতরে লুকিয়ে রাখে আসামিরা। পরে আসামিদের চাপ দিলে তাদের কথাবার্তায় সন্দেহ হয়। ঘটনার দুই দিন পর পুলিশ ছিলামপুর সেতুর নিচ থেকে আরিফ হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করেন।

এ ঘটনায় নিহতের বাবা শুকুর আলী বাদী হয়ে লিংকন, আলতাফ, হাসান আলী, মঞ্জু, সহন, মাইনুদ্দিন, রাসেল, বাদল ও জিন্নাত আলীকে আসামি করে দৌলতপুর থানায় হত্যা মামালা করেন। মামলা হওয়ার পর পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তার করে।

মামলায় ১৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামি লিংকন ও আলতাফ দোষী প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন এবং দোষী প্রমাণিত না হওয়ায় আসামি হাসান আলী, মঞ্জু, সহন, মাইনুদ্দিন, রাসেল ও বাদলকে বেকসুর খালাস দেন। মামলা চলাকালে অপর আসামি জিন্নাত আলীর মৃত্যুবরণ করায় মামলা থেকে তাকে বাদ দেওয়া হয়।

এই রায়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পিপি মথুরনাথ সরকার সন্তোশ প্রকাশ করলেও আসামিপক্ষের আইনজীবী আরিফ হোসেন লিটন এবং হুমায়ন কবির সেন্টু উচ্চ আদালতে আপিলের কথা জানিয়েছেন।

সোহেল হোসেন/আরএআর