মৌলভীবাজারে বৃষ্টি উপেক্ষা করে হাজারো মানুষের বিক্ষোভ
মৌলভীবাজারে প্রচণ্ড বৃষ্টি উপেক্ষা করে হাজারো মানুষকে সঙ্গে নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি পালন করেছে উলামা পরিষদ। ভারতে হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে গত দুই দিন ধরে চলছে এই বিক্ষোভ।
সোমবার (১৩ জুন) দুপুরে মৌলভীবাজার শহরের টাউন ঈদগাহ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। এ সময় শুরু হয় বৃষ্টি। কিন্তু আগত ধর্মপ্রাণ মানুষরা বৃষ্টি উপেক্ষা করেই মিছিলে অংশ নেন। বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়কগুলো পরিদর্শন করেন। মিছিলে নেতৃত্ব দেন বরুনার পরী শায়খুল হাদিস রশিদুর রহমান ফারুক।
বিজ্ঞাপন
এর আগে টাউন ইদগাহে সমাবেশ হয়। সেখানে তিনি বলেন, মহানবী (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তিকারী ভারতের বিজেপির দুই নেতা-নেত্রীকে অবিলম্বে ভারত সরকারকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। আর যদি তাদের বিচারের আওতায় না আনা হয়, তাহলে বুঝা যাবে ভারত সরকার গোটা বিশ্বের মুসলমানদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। যুগে যুগে যারা ইসলামের বিরোধীতা করেছে তাদের চরম পরিণতি ভোগ করতে হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
বিশ্ব মুসলিমের ধর্মীয় আবেগের স্থান আমাদের প্রিয় নবী ও রাসুল (সা.)-কে নিয়ে এ ধৃষ্টতাপূর্ণ আচরণের জন্য অবিলম্বে ভারত সরকারকে সমগ্র মুসলিম দুনিয়ার কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। প্রিয় নবীকে নিয়ে কটূক্তি করায় প্রচণ্ড বৃষ্টিতে ভিজেও নবীপ্রেমী হাজারো মানুষ আজ নজরানা দেখিয়েছেন।
এ ছাড়া সমাবেশে মৌলভীবাজারের বিভিন্ন কওমি মাদরাসার মুহতামিম, ইমাম-খতিব ও মাদরাসার শিক্ষকরা বক্তব্য রাখেন। বিক্ষোভে রায়পুর, দারুল উলুম, জামেয়া দ্বীনিয়া, জামেয়া আরাবিয়া, নুরুল কুরআন, বরুণা, শেখ বাড়িসহ বিভিন্ন মাদরাসার হাজার হাজার ছাত্র-শিক্ষক মিছিল ও সমাবেশে অংশ নেন।
মিছিলে বিক্ষোভকারীরা নানা প্রতিবাদী শ্লোগান দিয়ে পুরো রাজপথ দখলে রাখেন। এ সময় কিছুক্ষণের জন্য যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। মিছিল শেষে একদিকে বৃষ্টি অপরদিকে বরুনার পীর রশিদুর রহমান ফারুক হাজারো প্রতিবাদী মুসল্লিদের নিয়ে মোনাজাতে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
রোববার মৌলভীবাজার হযরত সৈয়দ শাহ মোস্তফা (র.) দরগাহ মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে মিছিল বের করে বাংলাদেশ আনজুমানে আল ইসলাহ ও তালামীয।
মিছিল পরবর্তী সমাবেশে আল ইসলাহ জেলা সভাপতি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ শামছুল ইসলাম বলেন, মহানবী (সা.) তার সুমহান জীবনাদর্শ বিশ্বমানবতার জন্য অনুকরণীয়। পৃথিবী যতদিন টিকে থাকবে, ততদিন তিনি সব মানুষের কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। কারণ, তার চারিত্রিক পবিত্রতা মহান আল্লাহ তাআলা স্বয়ং পবিত্র কোরআনে ঘোষণা করেছেন।
অথচ ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির দুইজন নেতা নুপুর শর্মা ও নবীন কুমার জিন্দাল কর্তৃক মহানবী (সা.)- এর শানে অবমাননার মন্তব্যের যে দৃষ্টতা দেখিয়েছে তা কোটি কোটি মুসলমানদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ করেছে। অনতিবিলম্বে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি কার্যকর না হলে পণ্য বয়সকটসহ সবধরনের সম্পর্কচ্ছেদ করা হবে।
আরআই