লক্ষ্মীপুরে খিলবাইছা উচ্চ বালিকা বিদ্যা নিকেতনের অফিস সহকারী ও হিসাব সহকারীসহ ৩ পদে নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সহসভাপতি ওবায়েদ হোসেন চৌধুরী বাবলু ও প্রধান শিক্ষক আয়েশা বেগমকে ছাগল খাওয়ার জন্য ৭০ হাজার টাকা দিয়েছেন নিয়োগপ্রাপ্তরা। এ ছাড়া মোটা অঙ্কেকের টাকা নিয়ে পকেট ভারি করেছেন তারা। 

সোমবার (১৩ জুন) দুপুরে খিলবাইছা জিএফ ইউনিয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে এলাকাবাসীর উদ্যোগে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করা হয়। এ নিয়োগ বাতিল ও অনিয়মে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। 

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মহি উদ্দিন, আবদুল মোতালেব মানিক, হোসেন আহম্মদ ভূঁইয়া, মোয়াজ্জেম হোসেন কাকন, আবদুল ওদুদ ভূঁইয়া, শরীফ উল্যাহ ভূঁইয়া, সিরাজুল ইসলাম ও হাবিবুর নবী চৌধুরী।

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে বলেন, বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী, হিসাব সহকারী, অফিস সহায়ক ও নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগে অনিয়ম রয়েছে। অর্থের বিনিময়ে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সহসভাপতি ওবায়েদ হোসেন চৌধুরী বাবলু ও প্রধান শিক্ষক আয়েশা বেগম পদগুলোতে জনবল নিয়োগ দেন। ২০১২ সালেও বিদ্যালয়ে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির ঘটনায় জড়িত থাকায় এলাকাবাসীর আন্দোলনে ওবায়েদকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। 

পরে কৌশলে তিনি পরিচালনা কমিটির সহ-সভাপতি পদে ফের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এখন সাজানো পরীক্ষার আয়োজন করে নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে পকেট ভারি করেছেন সহসভাপতি ও প্রধান শিক্ষক। নিয়োগপ্রাপ্তরা ছাগল খাওয়ার জন্য তাদেরকে ৭০ হাজার টাকা দিয়েছেন। পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের নিয়োগ দেওয়া হয়নি। এতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে এ নিয়োগ বাতিলসহ জড়িতদের শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আয়েশা বেগম বলেন, যারা চাকরি পাননি, তারাই এখন বিভিন্ন অভিযোগ তুলছেন। 

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ওবায়েদ হোসেন চৌধুরী বাবলু বলেন, অভিযোগটি সত্য নয়। নিয়োগপ্রাপ্তদের আমি ঠিকমতো চিনি না। ছাগল খাওয়ার জন্য টাকা নেওয়ার অভিযোগটি বিব্রতকর। নিয়োগে কোনো ধরনের অনিয়ম হয়নি।

হাসান মাহমুদ শাকিল/আরআই