কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার ভোটের দিন কুমিল্লার সব সরকারি, আধা সরকারি অফিস-আদালত বন্ধের দাবি জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৪ জুন) বিকেল সাড়ে ৩টায় নগরীর বাদুরতলাস্থ শিশুমঙ্গল রোডে প্রধান নির্বাচনী ক্যাম্পে সংবাদ সম্মেলন করে এসব দাবি জানান তিনি।

নির্বাচন কমিশন কথা রাখছে না উল্লেখ করে কায়সার বলেন, এ পর্যন্ত একজন এমপিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি কমিশন। ইসির এই অসহায়ত্বে ভোটারদের মনে সুষ্ঠু ভোটের সংশয় সৃষ্টি হয়েছে।

ভোটের দিন অফিস-আদালত খোলা প্রসঙ্গে কায়সার বলেন, অফিস-আদালত খোলা রাখা হয়েছে, যাতে ভোটার উপস্থিতি কম হয়। অফিস-আদালতে কর্মরত ভোটাররা যেন ভোট দিতে না পারে, তাই সব খোলা রাখার সিদ্ধান্ত রাখা হয়েছে।

ইভিএম প্রসঙ্গে কায়সার বলেন, আমি গতকাল রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করেছিলাম যেন ভোটের চূড়ান্ত ফলাফল প্রিন্ট আকারে প্রদান করা হয়। কিন্তু ইতিবাচক সাড়া এখন অবধি পাইনি। এটা কমিশনের পাঁয়তারা করে ভোট চুরির একটা চক্রান্ত বলে জানান কায়সার।

হাতে লিখে ফলাফল বিবরণী দিলে তাতে কারচুপির সুযোগ থাকার আশঙ্কা রয়েছে বলে, প্রিন্ট আকারে ফলাফল ঘোষণার দাবি তোলেন কায়সার।

প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থীর বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কায়সার বলেন, সাবেক মেয়র সাক্কু সাহেব ও রিফাত সাহেব দুজন একই সুতোয় বাঁধা। প্রশাসন নিরপেক্ষ থেকে অংশগ্রহণমূলক ভোট গ্রহণ হলে আমি ওই দুই প্রার্থী যা ভোট পাবে, তার চেয়ে দ্বিগুণ ভোট বেশি পাব ইনশাআল্লাহ।

সংবাদ সম্মেলনে নিজাম উদ্দিন কায়সারের নির্বাচনী প্রচারণা কমিটির আহ্বায়ক এস এ সেলিম, কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ আলী, কুমিল্লা জজ কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী আমান উল্যাহ আমান, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, শহীদুল্লাহ্ রতন প্রমুখ ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

এনএ