সপ্তম ধাপে স্থগিত হওয়া জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার আওলাই ইউনিয়ন পরিষদে ভোটগ্রহণ চলছে। বুধবার (১৫ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শন্তাগুড়নী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের একটি বুথে গোপন কক্ষে একসঙ্গে দুই ব্যক্তি ব্যালট পেপারে সিল মারার ঘটনা ঘটেছে। একই কেন্দ্রে আরেকটি নারী বুথের গোপন কক্ষের আগে একজন নারী দাঁড়িয়ে ব্যালেটে থাকা পছন্দের প্রার্থীর প্রতীকে সিল দেওয়ার জন্য ভোটারদের দেখিয়ে দিচ্ছেন।

ওই ভোটকেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, নারী ও পুরুষ ভোটারের দীর্ঘ লাইন। ভোটকেন্দ্রের মাঠে উৎসুক লোকজনের ভিড়। ভোটাররা একে একে বুথের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন।

বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ভোটকেন্দ্রের তিন নম্বর বুথের গোপন কক্ষে গিয়ে দুই ব্যক্তি একসঙ্গে ভোট দিচ্ছিলেন। এ সময় পোলিং কর্মকর্তার সামনেই এক ব্যক্তি নৌকা প্রতীকে সিল মারেন। ভোটকেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা শহিদুল ইসলামকে বিষয়টি জানানো হলে তিনি এসে ওই দুই ব্যক্তিকে গোপন কক্ষে একসঙ্গে ভোট দেওয়ার দৃশ্য দেখতে পান। তারা ভোট দিয়ে দ্রুত চলে যান।

ওই কক্ষে থাকা বিদ্রোহী প্রার্থী একরামুল হক চৌধুরীর এজেন্ট মহিদুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, একসঙ্গে ২-৩ জন ভোটার গোপন কক্ষে গিয়ে নিজেরাই দেখাদেখি করে ভোট দিচ্ছেন। কেউ আবার প্রকাশ্যে ব্যালেটে সিল দিচ্ছেন। এ বিষয়ে পোলিং ও প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে একাধিক বার জানিয়েছি। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি।

অপরদিকে বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটে একই কেন্দ্রের ৬ নম্বর নারী বুথে গিয়ে দেখা যায়, একজন নারী গোপন কক্ষের সামনে দাঁড়িয়ে তার পছন্দের প্রতীকে ভোট দেওয়ার জন্য ব্যলেটে থাকা প্রতীক দেখিয়ে দিচ্ছিলেন। নাম জিজ্ঞাসা করতেই ওই নারী দ্রুত কক্ষের ভেতর থেকে বেরিয়ে যান।

জানতে চাইলে শন্তাগুড়নী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকতা শহিদুল ইসলাম বলেন, ৩ নম্বর বুথের গোপন কক্ষে একই সঙ্গে যে দুই ব্যক্তি গিয়েছিলেন, তারা দুইজন বন্ধু। এ কারণে তারা একসঙ্গে গোপন কক্ষে ঢুকে ভোট দিয়েছেন। এরকম ঘটনা আর যেন না ঘটে সেই জন্য পোলিং কর্মকর্তাদের সর্তক করা হয়েছে। এই কেন্দ্রে মোট ভোটার ২২৩৪ জন। তখন ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে।

চম্পক কুমার/আরআই