যশোরের চৌগাছায় বলাৎকারে ব্যর্থ হয়ে মিরাজ হোসেন চয়ন (১৫) নামে নবম শ্রেণির এক ছাত্রকে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। 

একই সঙ্গে হত্যাকারী রাজু হোসেনকে গ্রেপ্তার এবং হত্যায় ব্যবহৃত গামছা ও মাইক্রোবাস উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (১৫ জুন) পিবিআই যশোর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়। গ্রেপ্তার রাজু হেসেন চৌগাছার বহিলাপোতা গ্রামের মৃত ইসমাইল হোসেন মন্ডলের ছেলে।

পিবিআই জানায়, গতকাল মঙ্গলবার (১৪ জুন) দুপুর আড়াইটার দিকে চৌগাছা পৌরসভার সামনে বটতলা মোড় থেকে রাজুকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে বুধবার তাকে যশোর আদালতে সোপর্দ করলে রাজু হত্যার ঘটনা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সালমান আহমেদ শুভ জবানবন্দী গ্রহণ শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

পিবিআই আরও জানায়, নিহত চয়ন নবম শ্রেণিতে লেখাপড়ার পাশাপাশি রাজু হোসেনের কাছে মাইক্রোবাস চালানো শিখতেন। গত ১২ জুন রাত ৮টায় রাজু হোসেন চয়নকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে যান। পরে দুজনে মাইক্রোবাসে বসে মোবাইল ফোনে ভিডিও দেখতে থাকেন। একপর্যায়ে রাত ২টার দিকে রাজু চয়নকে বলাৎকারের প্রস্তাব দেয়। রাজি না হওয়ায় জোরপূর্বক চেষ্টা করেন রাজু। চয়ন বাধা দিয়ে ধস্তাধস্তি করে মাইক্রোবাস থেকে বের হয়ে যায়। এরপর রাজু হোসেন এমনটি আর হবে না বলে ফের নয়নকে গাড়ির ভেতরে ডেকে নিয়ে যায়। কিন্তু কিছু সময় পর ফের একই কাজ করে রাজু। মিরাজ আবারো বাধা দেয়। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে মিরাজের গলায় গামছা পেঁচিয়ে ধরে রাজু এবং শ্বাসরোধ করে চয়নকে হত্যা করেন। এরপর চয়নের মরদেহ বস্তাবন্দি করে রাজু নদীতে ফেলে দেন। 

হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর দিন সোমবার (১৩ জুন) সকালে মাধবপুর ধোনারখাল কপোতাক্ষ নদের পাড় থেকে বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের বাবা সবুজ হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে চৌগাছা থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পান পিবিআই যশোরের এসআই শরীফ এনামুল হক । পরে অভিযান চালিয়ে তিনি রাজুকে গ্রেপ্তার করেন। ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পিবিআইয়ের তদন্তে উঠে আসে ঘটনার রহস্য। 

আরএআর