অতিবৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলায় দেখা দিয়েছে আকস্মিক বন্যা। এতে সাত ইউনিয়নের অন্তত ৫০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। আর পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৩০ গ্রামের প্রায় লক্ষাধিক মানুষ। 

জানা গেছে, শুক্রবার (১৭ জুন) দুপুরে উপজেলার ঘোষগাঁও ইউনিয়নের ভালুকাপাড়া ও দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নের ঘাগড়ারপার এলাকায় নির্মাণাধীন বেড়িবাঁধ ও নেতাই নদীর পাড় ভেঙে যায়। এতে দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নের সোহাগীপাড়া ও চারুয়াপাড়া গ্রামসহ আরও ৫-৬ টি গ্রামের কিছু অংশ, ঘোষগাঁও ইউনিয়নের ভালুকাপাড়া, জরিপাপাড়া, গলাভাঙা ও বালিগাও গ্রামের কিছু অংশ, বাঘবেড় ইউনিয়নের মেকিয়ারকান্দা, ডোমঘাটা ও শালকোনা গ্রামের কিছু অংশ বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। 

ইতোমধ্যে কয়েকটি গ্রামে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার ও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হলেও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের খবর পাওয়া যায়নি। 

ঘোষগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ বলেন, নেতাই নদীর বাঁধ ভেঙে আমাদের ইউনিয়নের প্রায় পাঁচটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি রয়েছে সদর ইউনিয়নের দর্শা, ধাইরপাড়া, বলরামপুর, গুজিরকান্দি, বাঘড়া ও পঞ্চনন্দপুর গ্রাম। 

এ ছাড়া পুড়াকান্দুলিয়া ইউনিয়নের দুধনই, কাশিনাথপুর, চন্ডারচর, বতিহালা, কালিনগর, গুপিনপুর, ধলুয়াকান্দা, হরিন্দরা, আঙ্গুরাকান্দা, রায়কান্দুলিয়া, বহরভিটা, পূর্ব বতিহালা, রাউতি, বেতগাছিয়া, চরেরভিটা, কাউয়াকান্না,  পুটিয়ারকান্দা, মদনপুর, টিগুরিয়া, রাজদেওমা, গুইঙ্গাজুড়ি ও পুড়াকান্দুলিয়াসহ প্রায় ২০টি গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে কিছু ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। 

পুড়াকান্দুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল হক মঞ্জু বলেন, এই ইউনিয়ন নিচু এলাকা হওয়ায় বন্যার পানিতে সব গ্রাম প্লাবিত হয়। এখন পুরোপুরি পানিবন্দি ২০টির মতো গ্রাম। কয়েকটি এলাকায় ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। বাকিগুলোতে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হবে। 

ধোবাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফৌজিয়া নাজনীন বলেন, পানিবন্দিদের জন্য স্থানীয়ভাবে শুকনো খাবার সহায়তা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রাথমিকভাবে পানিবন্দি ১ হাজার পরিবারকে ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হবে।

উবায়দুল হক/এসপি