আমাকে বহিষ্কারের একরামুল করিম চৌধুরী কে?
মেয়র আবদুল কাদের মির্জা
নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, আমাকে বহিষ্কার করার একরামুল করিম চৌধুরী কে? আমাকে বহিষ্কারের ক্ষমতা নেই তার।
তিনি বলেন, তার নিজের (একরামুল করিম চৌধুরী) কমিটির অনুমোদন নেই; আসছে আমাকে বহিষ্কার করতে। আমার নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি বলেন আমি বহিষ্কার, তাহলে আমি তার কথা মাথা পেতে নেব। এছাড়া অন্য কারও কথা কিংবা বহিষ্কারে আমার কিছু যায় আসে না।
বিজ্ঞাপন
দল থেকে অব্যাহতি পাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে ৮টার দিকে ঢাকা পোস্টকে এসব কথা জানিয়েছেন মেয়র আবদুল কাদের মির্জা।
আমাকে বহিষ্কারের কিছুই নেই। জেলা আওয়ামী লীগের সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এটি একটি অবৈধ কমিটি। এই কমিটির অস্তিত্ব নেই। আমাকে বহিষ্কারের ক্ষমতা নেই তাদের।
বিজ্ঞাপন
শনিবার সন্ধ্যায় মেয়র আবদুল কাদের মির্জাকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
একই সঙ্গে দলীয় গঠনতন্ত্রপরিপন্থী কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে দল থেকে চূড়ান্তভাবে বহিষ্কারের জন্য আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদে সুপারিশ করা হয়।
অব্যাহতি পাওয়া আবদুল কাদের মির্জা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই। তাকে অব্যাহতি দেওয়ার বিষয়টি জানিয়েছেন নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ এইচ এম খায়রুল আনম সেলিম।
সেই সঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তাকে অব্যাহতির কথা জানানো হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কয়েক সপ্তাহ ধরে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর সন্ত্রাসী লেলিয়ে দিয়ে গুরুতর আহত করেছেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ ও নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ সম্পর্কে মিথ্যা, অশালীন ও আপত্তিকর বক্তব্য দিয়েছেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লাইভে এসে সংগঠনবিরোধী অশোভনীয় মন্তব্য ও নেতাকর্মীদের হুমকি দিয়েছেন। এসব অভিযোগে আবদুল কাদের মির্জাকে সংগঠনের সব কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো।
হাসিব আল আমিন/এএম