‘চারপাশে থইথই পানি, ৫ দিন পড়ে আছে দুই মরদেহ’ শিরোনামে গত ২১ জুন ঢাকা পোস্টে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। বন্যার পানির কারণে কবরস্থানসহ সুনামগঞ্জের কোথাও শুকনো জায়গা না পাওয়ায় পলিথিনে মুড়ে বাক্সবন্দী করে ৫ দিন বাঁশের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয় আরশাদ আলী ও সাজু মিয়ার মরদেহ। 

ঢাকা পোস্টে সংবাদ প্রকাশের পর সেই সংবাদ দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। আর সেখান থেকে খবর পেয়ে সেই মরদেহ দুটি দাফন করতে এগিয়ে আসে বন্যাকবলিত সুনামগঞ্জে উদ্ধারকাজে নিয়োজিত কোস্ট গার্ড। 

বুধবার (২২ জুন) কোস্ট গার্ডের একটি দল সেখানে গিয়ে কবরস্থান পরিদর্শন করে। পরে কোস্ট গার্ডের দলটি গ্রামবাসীর সহযোগিতায় মরদেহ উদ্ধার করে দাফন করে আরশাদ আলীকে। পানি থাকায় ওই দিন আর দাফন করা যায়নি সাজু মিয়ার মরদেহ। 

আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে কবরস্থানে সামান্য শুকনো জায়গা ভেসে ওঠে। পরে গ্রামবাসীকে সঙ্গে নিয়ে জামাতা সালাতুল ইসলাম দাফন করেন সাজু মিয়ার মরদেহ। 

মরদেহ উদ্ধার করে দাফনের পাশাপাশি তাদেরকে খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হয় কোস্টগার্ডের পক্ষ থেকে। 

আরশাদ আলীর ছেলে ইব্রাহিম মিয়া বলেন, বাবার মরদেহ নিয়ে অসহায় অবস্থায় বসে থাকার পর প্রথমে ঢাকা পোস্ট আসে আমাদের সাহায্য করতে। তাদের সংবাদ প্রকাশের পর কোস্টগার্ড এসে বাবাকে দাফন করতে সহযোগিতা করে। 

কোস্ট গার্ডের কর্মকর্তা লে. সাব্বির জানান, দাফনের জায়গা না পেয়ে পাঁচ দিন ধরে মরদেহ নিয়ে বসে আছে দুটি পরিবার। এমন সংবাদ দেখে তাদের সহায়তার জন্য এসেছে কোস্ট গার্ড। মরদেহ দাফনের পর পরিবারকে খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হয়েছে। 

আরআই